• ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    শেষ দিনে বাংলাদেশের স্পিন-পরীক্ষা

    শেষ দিনে বাংলাদেশের স্পিন-পরীক্ষা    

    স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে)

    ভারত ৬৮৭/৬ ও ২৯ ওভারে ১৫৯/৪ (পূজারা ৫৪*, কোহলি ৩৮; তাসকিন ২/৪৩, সাকিব ২/৫০)

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৩৮৮ (মুশফিক ১২৭, সাকিব ৮২), ২য় ইনিংস  ৩৫ ওভারে ১০৩/৩ (সৌম্য ৪২, মুমিনুল ২৭; অশ্বিন ২/৩৪)


     

    রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শেষ বলটাই প্রায় কাঁপিয়ে দিয়েছিল। অ্যাকশন বদলে লেগ স্পিনার হয়ে গেলেন, সাকিব বলটা ছেড়েই দিয়েছিলেন। আরেকটু হলে সেটি ভেঙ্গে দিতে পারত স্টাম্প। শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি, এই যাত্রা পার পেয়ে গেছেন সাকিব আল হাসানও। তবে অলৌকিক কিছু না হলে বাংলাদেশের পার পাওয়াটা কঠিন। স্পিন-মৃগয়া হয়ে উঠতে থাকা রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শেষদিন ৭ উইকেট হাতে কাটিয়ে দেওয়াটা যে এভারেস্টে ওঠার মতোই কঠিন! ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্টে ড্রয়ের আশাটাও এখন অনেকটা দূরের বাতিঘর মনে হচ্ছে।  

    অথচ শেষ সেশনের একটা সময় সেই আশা অনেকটাই উজ্জ্বল মনে হচ্ছিল। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের, নতুন বলে শুরুতেই আঘাত হেনেছেন অশ্বিন। ষষ্ঠ ওভারে তামিমের বলটা এলবিডব্লু ভেবেই আবেদন করছিলেন অশ্বিনসহ সবাই। শুধু কোহলিই বার বার ইঙ্গিত করছিলেন, বলটা ব্যাড-প্যাড ক্যাচ হয়েছে। আম্পায়ার আউট দেননি, ক্যাচ ধরে রিভিউ নিতে এক মুহূর্ত ভাবেননি কোহলি। পরে দেখা গেল, ব্যাটে লেগেই ভারত অধিনায়ক বলটা ধরেছেন, তামিম ফিরে গেছেন ৩ রানে।

    এরপর সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হক মিলে হাল ধরেছিলেন। সৌম্য তাঁর মতোই খেলছিলেন, কয়েকবার অবশ্য বল কানায় লেগে চার হয়ে পেয়েছেন ভাগ্যের ছোঁয়াও। মুমিনুল ছিলেন দারুণ সতর্ক। ৫০ রানের জুটিও হয়ে গিয়েছিল দুজনের। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতেই স্লিপে জাদেজাকে ক্যাচ দিয়ে বসলেন। সেটার কৃতিত্ব অবশ্য জাদেজার চেয়ে রাহানের কোনো অংশে কম নয়। এক হাতে আরও একটি দারুণ ক্যাচে জানিয়ে দিয়েছেন, কেন তাঁকে এই সময়ের সেরা স্লিপ ফিল্ডারদের একজন বলা হয়।

    মুমিনুলও এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি। আবারও অশ্বিন ঘাতক, প্রথম ইনিংসে নিজেকে হারিয়ে খোঁজার অতৃপ্তিটা এবার দূর করার লক্ষ্য নিয়েই যেন নেমেছেন। মুমিনুলকে করা বলটাও বড় টার্ন করে ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে রাহানের হাতে গিয়ে পড়ে। এই ক্যাচটা অবশ্য চাইলেও ফেলে দিতে পারতেন না রাহানে।

    এরপর সাকিব এসেই তাঁর মতোই খেলেছেন। আগের দিনই জানিয়ে রেখেছিলেন, নিজের ধরন বদলাবেন না। সেটা প্রমাণ করতেই হয়তো প্রথম থেকেই ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। জাদেজাকে পর পর দুই চার মেরে বোলিংয়ের ঝাঁঝও কিছুটা মিটিয়ে নিলেন। অন্য প্রান্তে মাহমুদউল্লাহও আছেন। কাল বাংলাদেশ কতক্ষণ টিকতে পারে, সেটা নির্ভর করছে দুজনের জুটির ওপরেই।