• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    নাঈমের দিনে শুভাগতর ম্যাচ বাঁচানো ফিফটি

    নাঈমের দিনে শুভাগতর ম্যাচ বাঁচানো ফিফটি    

    প্রথম ইনিংসে আগ্রাসী এক সেঞ্চুরিতে করেছিলেন পাল্টা আক্রমণ। বিসিএলের শেষ দিন পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী শুভাগত হোমের ব্যাট আবারও চওড়া। এবার এই অলরাউন্ডার পেয়েছেন ফিফটি, তাঁর দল সেন্ট্রাল জোন শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ড্র করতে পেরেছে সাউথ জোনের সঙ্গে। তবে আজকের দিনে বড় অর্জন নাঈম ইসলামেরই, নর্থ জোনের হয়ে পেয়ে গেছেন প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটে ১৯তম সেঞ্চুরি।

    সাউথ জোনের সঙ্গে শেষদিন সেন্ট্রাল জোনের লক্ষ্য ছিল ২৭২। প্রতিপক্ষ দলে মুস্তাফিজ, রুবেল, রাজ্জাকদের মতো বোলার, সেন্ট্রাল জোন হয়তো ড্রয়ের জন্যই খেলল। ৩৬ রানে ৩  উইকেট হারিয়ে একটা সময় পরাজয়টাও উঁকি দিতে শুরু করেছিল দিগন্তে। এর পর আবদুল মজিদকে নিয়ে হাল ধরেছেন শুভাগত। দুজনেই রান করার চেয়ে উইকেটে পড়ে থাকাটাই বেশি জোর দিয়েছিলেন। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৯১ রানের জুইটা এসেছে ৩৮ ওভারে। মজিদ ১৭০ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন। শুভাগতও ১২৪ বলে ৫২ রান করার ফিরে গেছেন এর পরেই। তবে দিনের বাকিটা সময় তাইবুর রহমান ও মার্শাল আইয়ুব আর কোনো বিপদ হতে দেননি। আজকের দিনের সফলতম বোলার ছিলেন রুবেল ও সোহাগ গাজীই, দুজনেই পেয়েছেন দুইটি করে উইকেট। আগের দিন ১ উইকেট পাওয়ার পর মুস্তাফিজ ছিলেন আজ উইকেটবিহীন।

    অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে নাঈম ইসলাম। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯তম সেঞ্চুরি থেকে কাল ১৫ রান দূরত্বে ছিলেন। আজ নর্থ জোনের হয়ে সেঞ্চুরি করার ঠিক পর পর আউট হয়ে গেছেন ইস্ট জোনের আবুল হাসানের বলে। তবে ম্যাচটা যে ড্র হচ্ছে, সেটা প্রায় তখনই নিশ্চিত হয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে ইস্ট জোনের ৪৪০ রানের পর নর্থ জোন অলআউট হয়ে গেছে ৪০৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ ওভারে ৯২ রান করে ইস্ট জোনের ব্যাটিং অনুশীলনটাই হয়েছে।