• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    তুষার-শরীফের বুড়ো হাড়ের ভেলকি

    তুষার-শরীফের বুড়ো হাড়ের ভেলকি    

    প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের অনেক রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯ হাজার রান, সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এসব রেকর্ড কালই হয়ে গিয়েছিল। এবার তুষার ইমরান আজকের দিনটা বেছে নিলেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপলক্ষ হিসেবে, তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ২২০ রানের ইনিংসেই সাউথ জোন চড়ে বসেছে রানের পাহাড়ে। অন্য দিকে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন সেন্ট্রাল জোনের মোহাম্মদ শরীফ। ৭০ রানের পর ৭ ওভার বল করেই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

    জাতীয় লিগে সেঞ্চুরি তুষারের জন্য অবশ্য নিয়মিত ঘটনাই। নাঈম ইসলাম ও অলক কাপালিকে ছাপিয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটা আগেই নিজের করে নিয়েছিলেন। আজ তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটাও পেয়ে গেলেন, ছাড়িয়ে গেলেন খুলনার সঙ্গে আগের ২০৩ রানের স্কোর। তাঁকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আরেক অভিজ্ঞ শাহরিয়ার নাফীস ও পরে মোসাদ্দেক হোসেন। ৩৬৯ বলের ইনিংস তুষার চার মেরেছেন ২২টি, ছয় মেরেছেন তিনটি। তবে মোসাদ্দেক ছিলেন দারুণ আগ্রাসী, মাত্র ৬৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ছয় মেরেছেন পাঁচটি। সাউথ জোনের স্কোর একটা সময় ৬০০ পেরিয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। তবে ৪৭৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে গেছে ৫০১ রানে। কিন্তু এই রানের পর এখন বেকায়দায় পড়ে গেছে নর্থ জোন। ১০৭ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। মুস্তাফিজ এই ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছেন, তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়ে সেটা দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন নাহিদুল। নাজমুল হোসেন, জুনাইদ সিদ্দিক ও নাঈম ইসলামকে আউট করে একাই ভেঙে দিয়েছেন নর্থ জোনের মেরুদন্ড।

    জাতীয় লিগে ফতুল্লার অন্য ম্যাচটা ছিল মোহাম্মদ শরীফের। আগের দিন ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন, আজ আউট হওয়ার আগে করেছেন ৭০ রান। আগের দিন ২৩২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সেন্ট্রাল জোন, কাল শেষ ৩ উইকেট নিয়ে যোগ করেছে আরও ৯৬ রান। নুরুল হাসান ৬৫ রান করে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য দাবিটাও জানিয়ে রেখেছেন। আবু জায়েদ ৭৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

    পরে বল হাতেও আগুন ঝরিয়েছেন শরীফ, মাত্র ২৪ রানেই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১১৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ইস্ট জোনও এখন কাঁপছে। ম্যাচ বাঁচাতে সেন্ট্রাল জোনের মতো তাদের টেল এন্ডারদেরও এখন দারুণ কিছু করতে হবে।