• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    নাঈম পারলেও কাপালি পারেননি

    নাঈম পারলেও কাপালি পারেননি    

    স্কোর

    সেন্ট্রাল জোন ৩২৮ ও ২৮২/৭

    ইস্ট জোন ২১১ ও ১৭২

    ফল: সেন্ট্রাল জোন ২২৭ রানে জয়ী


     

    সাউথ জোন ৫০১

    নর্থ জোন ২৪২ ও ৪০৩/৮

    ফল: ম্যাচ ড্র


    আগের দিন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন, অভিজ্ঞদের জন্য জাতীয় লিগের দরজাটা এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি। নাঈম ইসলাম ও অলক কাপালি নিশ্চয় কথাটা প্রেরণা হিসেবেই নিয়েছেন। তবে নাঈমের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি নিশ্চিত পরাজয় থেকে তাঁর দল নর্থ জোনকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। আর ৭১ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেও ইস্ট জোনকে বাঁচাতে পারেননি অলক কাপালি।

    নাঈম ইসলামদের জন্য কাজটা এভারেস্ট টপকানোর মতোই কঠিন ছিল। সাউথ জোনের বিশাল রানের নিচে চাপা পড়েছিল আগের দিনই, ফলো অনে পড়ে দুই উইকেটও হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু আগের দিনই নাঈম ও ফরহাদ হোসেন হাল ধরেছিলেন, শেষ দিনের শুরুও করেছেন সেখান থেকেই। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৬ রান যোগ করার পর আউট হয়ে গেছেন ফরহাদ, তার আগে অবশ্য পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি। এক রান করেই এরপর আউট নাসির হোসেন, ৪ উইকেট হারিয়ে পরাজয় বাঁচানোটা নর্থ জোনের জন্য তখনো অনেক দূরের পথ।

    ধীমানকে সঙ্গী করে এরপর সেই পথটা এরপর অনেকটুকু পাড়ি দিয়েছেন নাঈম। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ৭১ রান, তার চেয়েও বড় কথা কাটিয়ে দিয়েছেন ২২ ওভার। এরপর সোহরাওয়ার্দী শুভ, সানজামুলদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন নাঈম। শেষ পর্যন্ত শফিউল সঙ্গ দেওয়ায় জয়ের সমান এক ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছেন। নিজে ২৪৩ বল খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১২৯ রানে। প্রথম ইনিংসের পর এবারও ৫ উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল, কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা গেছে তুষার ইমরানের কাছেই।

    বরং দিনের অন্য ম্যাচটাই ড্র হওয়ার দিকেই এগুচ্ছিল। আগের দিন ৫ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে আজ সকালে নেমেছিল সেন্ট্রাল জোন, আজ সকালে ২৮২ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। কিন্তু ৭২ ওভারের বেশি খেলতে পারেনি ইস্ট জোন, শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে গেছে ১৭২ রানে।

    ড্র ঠেকানোর জন্য যাদের দিকে তাকিয়ে ছিল ইস্ট জোন, তাঁরা প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। জাতীয় দলের লিটন দাশ ও মুমিনুল হক আউট হয়ে গেছেন ১০ ও ১৯ রান করেই। প্রথম পাঁচজনের একজনও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে এক প্রান্ত আগলে ঠিকই চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন অলক কাপালি। ৭৭ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও আবুল হাসানকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আবুলের বিদায়ের পর টেল এন্ডাররা কেউই খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে গেছেন ৭১ রান করে। সেন্ট্রাল জোনের হয়ে মূল ঘাতক ছিলেন শুভাগত হোম। আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেটের কীর্তি গড়েছিলেন। এবার চার উইকেট নিয়ে আবারও জয়ের নায়ক। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা অবশ্য গেছে মোহাম্মদ শরীফের কাছে।