কিপিংয়ের ব্যাপারটা কোচ-নির্বাচকদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন মুশফিক
সামনেই শ্রীলংকা সফর। সফরের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কথা বলেছেন দল এবং নিজের কিপিং নিয়ে। মুশফিক জানিয়েছেন, দলের প্রয়োজনেই সবকিছু করবেন তিনি। কোচ-নির্বাচকরা যদি না চান তাহলে শুধুই ব্যাটিংটাই চালিয়ে যাবেন।
তাঁর কিপিং নিয়ে উঠেছে অনেক প্রশ্ন। ক্যাচ এবং স্ট্যাম্পিং মিসের ফলে সমালোচনাও শুনতে হয়েছে। সামনের সিরিজে কি তাহলে কিপিংটা ছেড়ে দিচ্ছেন? এরকম প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন, দলের প্রয়োজনে সব সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত তিনি, “কিপিংয়ে ভুল তো সবাই করে। বিশ্বের সেরা উইকেটকিপাররাও ক্যাচ ছাড়ে। এটা নিয়ে আসলে বেশি ভেবে লাভ নেই। আমি নিজের সর্বোচ্চটা দেই।আমি সবসময় দলের ব্যাপারে ভাবি। মাঝেমধ্যে তো বোলিংও করতে ইচ্ছে করে। দলের জন্য কিছু করতে চাই সবসময়। বাকি সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ এবং নির্বাচকরা। আমি তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কয়েক ম্যাচে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি দলের জন্য উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাই। তবে যেই দায়িত্বই দেওয়া হোক সেটাই আমি করবো দলের জন্য।"
শ্রীলংকা সফরে জয়ের জন্যই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল, এমনটাই জানালেন মুশফিক “আমরা সব সময় জয়ের জন্যই মাঠে নামি। কিন্তু আমরা এখনো ওরকম দল হইনি যে, যেকোনো সময় যেকোনো দলকে হারাতে পারি। আমরা গত কয়েকটা ম্যাচে ভালো করেছি। অনেক ক্ষেত্রে জয়ের কাছে গিয়েও পারিনি। আশা করি পরের ম্যাচগুলোতে আমরা এটা ভালভাবে সামলাতে পারবো। যত বেশি এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ততো বেশি আমরা শিখবো। টেস্টে ভালো করতে হলে ৩ দিন নয়, ৫ দিনই ভালো করতে হবে । আমাদের সামর্থ্য আছে, শুধু মাঠে করে দেখাতে হবে।”
এই সিরিজেই বাংলাদেশ ছুঁবে ১০০ টেস্ট খেলার রেকর্ড। এই সিরিজটা তাই স্মরণীয় করে রাখতে চান মুশফিক, “১০০ তম টেস্ট একটা মাইলফলক। এটা আমাদের জন্য একটা বড় সফর। আমরা এই ব্যাপারটা মাথায় রেখেই খেলার চেষ্টা করবো।”
শ্রীলংকা সফরে বাংলাদেশের জয়ের ভালো সুযোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন মুশফিক, “প্রতিটা সিরিজেই সুযোগ থাকে। আমাদের দলের অনেকেই অনেক বছর ধরে খেলছেন। ঘরের মাঠ হলেও শ্রীলংকা চাপে থাকবে। আমরা গত কয়েক বছর ধরে বেশ ভালো খেলছি। তবে সব নির্ভর করবে আমরা কতটুক দিতে পারি খেলার সময়ে। গলের পিচে স্পিন ধরে বরাবরই। ভারত যেমন আমাদের বিপক্ষে খুব একটা স্পিনিং উইকেট বানায়নি, শ্রীলংকাও তেমন করতে পারে। তবে আমদের ব্যালেন্স দল আছে। আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।”