ধীমানের সেঞ্চুরির পর বাবুর 'অলরাউন্ড' সাফল্য
নাঈম-নাজমুলের জোড়া শতকে আগের দিনই চারশ ছাড়িয়েছিল নর্থ জোনের রান। আজ ধীমান ঘোষও সেঞ্চুরি পেলে দলীয় সংগ্রহ পাঁচশ পেরোয়। এরপর ব্যাট হাতে অর্ধশতাধিক রান করে বল হাতেও আলাউদ্দিন বাবু সাফল্য পাওয়ায় একরকম নিশ্চিত ইনিংস পরাজয়ের শংকা নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে সেন্ট্রাল জোন। ওদিকে আফিফের সেঞ্চুরির পর চারটি অর্ধশতাধিক রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহ পেয়েছে ইস্ট জোন। শেষ দিনের খেলায় জয়ের জন্য তাঁদের প্রয়োজন সাউথ জোনের ১০টি উইকেট।
ক্যারিয়ারের এগারোতম প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তাইবুর রহমানের বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ১১৩ রানের ইনিংসটি ধীমান সাজান ১৪ চারে। ধীমানের সাথে ৫০ রানের জুটি গড়ে ১০ম উইকেটে আরও ৩১ রান যোগ করে আলাউদ্দিন বাবু আউট হন ব্যক্তিগত ৫৪ রানে। অপর প্রান্তে তাঁকে ৬.৪ ওভার সঙ্গ দেয়া ইয়াসিন আরাফাত ১৩ বল খেলে অপরাজিত থেকে যান শূন্য রানেই।
এরপর বল হাতেও তোপ চালিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সেন্ট্রাল জোনের প্রথম ৬ উইকেটের ৪টি তুলে নেন ডানহাতি পেসার বাবু। ওপেনার সাইফ হাসানের ৭০ আর আব্দুল মজিদের ৪৩ রানের পর প্রথম সারির আর কোনো ব্যাটসম্যানই রান পাননি। প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১৮৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলা সেন্ট্রাল জোন ইনিংস পরাজয় এড়াতে লড়ছে তানবির হায়দার ও মোহাম্মদ শরীফের ব্যাটে। দিন শেষে তানবির ৪২ ও শরীফ ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। ইনিংস পরাজয় এড়াতে শেষ দিনে তাঁদের করতে হবে আরও ১২৭ রান, নর্থ জোনের প্রয়োজন ২ উইকেট।
চট্টগ্রামের ম্যাচে আগের দিন আফিফের সেঞ্চুরির পর আজ ২ রানের জন্য তিন অংক ছুঁতে পারেননি তাসামুল হক। অলক কাপালির ৬৬ রানের পর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও রাহাতুল ফেরদৌসের ১০৪ রানের জুটিতে ৫২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ইস্ট জোন। সাইফুদ্দিন ৫০ ও রাহাতুল ফেরদৌস ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে দিন শেষে সাউথ জোনের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৯ রান। ১৯৮ রানে পিছিয়ে থেকে শেষ দিনের খেলা শুরু করবে তাঁরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ (৩য় দিনের খেলা শেষে)
সেন্ট্রাল জোন বনাম নর্থ জোনঃ সেন্ট্রাল জোন ১৮১ ও ২২৯/৮; নর্থ জোন ৫৩৭
সাউথ জোন বনাম ইস্ট জোনঃ সাউথ জোন ২৯৬ ও ২৯/০; ইস্ট জোন ৫২৩/৭ (ইনিংস ঘোষণা)