এমএসএনে সেই পুরোনো বার্সা!
গত কয়েক ম্যাচ ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না পুরোনো সেই বার্সেলোনাকে। সপ্তাহের শুরুতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে জয়ের পর আজ স্পোর্টিং গিজনের বিপক্ষে দেখা মিলল সেই ভয়ঙ্কর বার্সার! মেসি, সুয়ারেজ, নেইমারদের গোলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে এনরিকের দল। ৬-১ গোলে হারিয়েছে স্পোর্টিং গিজনকে।
নিজেদের ফিরে পাবার এই দিনটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত আর সুখকর হয়ে থাকেনি বার্সা সমর্থকদের জন্য। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ লুইস এনরিকের বিদায়ের ঘোষণায় অনেকটাই মিলিয়ে গেছে বড় জয়ের আনন্দ।
নিজেদের চিরাচরিত ফরমেশন বদলে ৩-৪-৩ এ আজ দল নামান এনরিকে। প্রথম একাদশে দলে ফেরেন হাভিয়ের মাসচেরানোও। ফরমেশনের মতো শুরুটাও আক্রমণাত্মকই করে বার্সা। প্রথম দশ মিনিটেই দুই গোলের লিড নেয় তারা। ৯ মিনিটে মাসচেরানোর বাড়ানো লং বল হেড করে এগিয়ে আসা গিজন গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে গোলের খাতা খোলেন মেসি। 'আর্জেন্টাইন জুটির' প্রথম গোলটা মাসচেরানোর বার্সা ক্যারিয়ারেরই প্রথম অ্যাসিস্ট! এর এক মিনিটের মধ্যেই আবারও গোল; সুয়ারেজের শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে এবার নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে দেন গিজন ডিফেন্ডার রদ্রিগেজ।
প্রথম দশ মিনিটেই দুই গোলের লিড পাওয়ায় কিছুটা গা ছাড়া ভাব দেখা যায় বার্সার ডিফেন্সে। সেই সুযোগে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় গিজন। ২১ মিনিটে সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক গোল শোধ দেন কার্লোস কাস্ত্রো। ওই গোলের পরই যেন 'হুশ' ফেরে বার্সা খেলোয়াড়দের। এরপর একরকম গোল উৎসবই চলে গিজনের জালে।
২৭ মিনিটে সুয়ারেজ দুই গোলের লিড পুনুরুদ্ধার করেন। প্রথমার্ধটা মাত্র ৩-১ গোলে শেষ করায় নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন গিজন খেলোয়াড়েরা। দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটেই ব্যবধানটা বাড়িয়ে নেন সুয়ারেজের বদলী আলকাসার। মেসির পাস থেকে মৌসুমে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল।
৬১ মিনিটে মেসিকে মাঠ থেকে নামিয়ে নেয়ার পর গোল উৎসবে যোগ দেন এই নেইমারও। ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোল করে মাঠের মেসির অভাব বুঝতেই দেননি এই ব্রাজিলিয়ান! নিয়মিত সময় শেষের তিন মিনিট আগে আরেক গোল করে বার্সার বড় জয় নিশ্চিত করেন ইভান রাকিতিচ।