• বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা
  • " />

     

    লঙ্কান রানের চাকায় পিষ্ট বাংলাদেশ

    লঙ্কান রানের চাকায় পিষ্ট বাংলাদেশ    

    স্কোর

    দ্বিতীয় দিন, লাঞ্চ শেষে

    শ্রীলঙ্কা ১১৪ ওভারে ৪৪৩/৬ (মেন্ডিস ১৯৪, ডিকভেলা ৭৫; মিরাজ ৩/১০৩)


    আগের দুই সেশনের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশের আজকের সকালটা খুব একটা খারাপ বলা যাবে না। কুশল মেন্ডিসকে ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেননি মিরাজ, পরে ফিরিয়ে দিয়েছেন সেঞ্চুরির সুবাস পেতে থাকা নিরোশান ডিকভেলাকেও। তারপরও শ্রীলঙ্কা ঠিকই রানের পাহাড়ে চড়ে বসেছে। এই সেশনে ২৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা, বলতে গেলে ওয়ানডের গতিতেই রান তুলেছে।

    তবে সকালে প্রথম সাফল্যের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১০৪তম ওভার পর্যন্ত। গত বছর নাথান লায়নকে উড়িয়ে ছয় মেরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। আজও ঠিক একই কাজ করতে গিয়েছিলেন। ১৯৪ রানের মাথায় মেন্ডিসের ডাউন দ্য উইকেটে এসে করা শটটা ছয় হতেই পারত। তবে বাউন্ডারি লাইনে বলের ওপর শ্যেন দৃষ্টি রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। ক্যাচ ধরে দড়িতে পা দেওয়ার আগেই ছেড়ে দেন বলটা। এরপর বলটা হাওয়ায় ভাসিয়ে আবার ধরে ফেলে প্রথম উদযাপনের সুযোগ এনে দেন বাংলাদেশকে।

    অথচ উদযাপন এর আগেই করে ফেলতে পারত বাংলাদেশ। বলা উচিত, সেটি করতে পারতেন শুভাশীষ রায়। এবারও মেন্ডিসের উইকেট পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি। শুভাশীষের বলটা হুক করে উড়িয়ে মেরেছিলেন মেন্ডিস। ফাইন লেগে মুস্তাফিজের ক্যাচটা তামিমের সুযোগের চেয়েও হয়তো সহজ ছিল। কিন্তু ক্যাচটা ধরার সময় যে দড়ির ওপারে চলে গেছেন, সেটা অবিশ্বাস্যভাবে খেয়াল করলেন না মুস্তাফিজ। শুভাশীষ অবশ্য সেটা খেয়াল না করেই শুরু করে দিয়েছেন উদযাপন । ওদিকে আম্পায়ারও ছয়ের সংকেত দিয়েছেন। দৃশ্যটা বাংলাদেশের দুর্দশার প্রতীকী একটা চিত্রই হয়ে রইল।

     

    তার পর অবশ্য বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন মিরাজ। মেন্ডিসের পর তাঁকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ডিকভেলাও। দিলরুয়ান পেরেরাও শুরু থেকেই নেমেই হাত খুলেই খেলতে শুরু করেছেন। শ্রীলঙ্কাও চাইছে যত দ্রুত সম্ভব রান বাড়িয়ে নিতে। আর বাংলাদেশ চাইবে যত দ্রুত সম্ভব টেল এন্ডারদের ফিরিয়ে দিতে। তবে গলের মরা উইকেটে সেই কাজ যে সহজ হবে না, বলাই বাহুল্য।