বাংলাদেশই যখন বাংলাদেশের প্রেরণা
স্কোর
চতুর্থ দিন, চা বিরতি
শ্রীলঙ্কা ৪৯৪ ও ২৪৭/৫(থারাঙ্গা ১১৫; মিরাজ ২/৭৭, সাকিব ২/৯০ তাসকিন ১/১২)
বাংলাদেশ ৩১২
প্রথম সেশনে রানের চাকাটা একটু মন্থরই ছিল। তবে পরের সেশন থেকেই সেটি ভালোমতোই ঘুরতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের সামনে এখনই ৪২৯ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট ইতিহাসেই এত বেশি রান করে জেতার কীর্তি নেই, আর গলে চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি কত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড জানেন? ৯৯। বাংলাদেশকে যে এখন ড্রয়ের জন্যই খেলতে হবে, সেটা বলে না দিলেও চলে।
বাংলাদেশের জন্য প্রেরণা হতে পারত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আগের একটা ম্যাচ। ২০০৮ সালে ঢাকায় শ্রীলঙ্কা ৫২১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ করতে পেরেছিল ৪১৩। চতুর্থ ইনিংসে এশিয়াতে এটাই সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। এবার সেরকম কিছু করাটা কঠিনের চেয়েও বেশি কিছুই।
প্রথম সেশনে একটু সতর্ক ছিলেন। তবে দ্বিতীয় সেশনেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে শুরু করেছেরন উপুল থারাঙ্গা। তার আগেই অবশ্য লাঞ্চের পর পর আউট হয়ে গেছেন কুশাল মেন্ডিস। উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিবের বলে তাসকিনকে ক্যাচ দিয়েছেন স্কয়্যার লেগে। এরপর চান্ডিমাল আর থারাঙ্গা মিলে আরও দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পাওয়ার জন্যও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি থারাঙ্গাকে। মেহেদীর বলে পর পর দুইটি চার মেরেছিলেন। তবে এক বল পর মারতে গিয়েই বোল্ড হয়ে গেছেন থারাঙ্গা।
পরের ওভারেই আবার আঘাত হানলেন সাকিব। এবার বলের টার্ন বুঝতে ভুল করে শুন্য রানেই বোল্ড হয়ে গেছেন গুনারত্নে। তবে উইকেট পড়তে থাকলেও শ্রীলঙ্কার রানের চাকা ঠিকই সচল ছিল।
ডিকওয়েল্লাকে নিয়ে চান্ডিমাল শ্রীলঙ্কাকে বড় লিডের দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ডিকওয়েল্লা বেশিক্ষণ থাকেননি, সেটার কৃতিত্ব বোলার মিরাজের চেয়ে উইকেট কিপার লিটনেরই বেশি। রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন ডিকওয়েল্লা, দ্রুত বলের লাইনে গিয়ে প্রায় এক হাতেই দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন লিটন। দিলরুয়ান পেরেরাও চলে যেতে পারতেন তাড়াতাড়িই। কিন্তু ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচটা মাহমুদউল্লাহ রাখতে তো পারেনইনি, উল্টো ছয় বানিয়ে দিয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা এখনও ইনিংস ঘোষণা করেনি। তবে সেটি আসাটা সময়ের ব্যাপারই।