সৌম্য-তামিমের ভারসাম্য চান সাকিব
শেষ দিনে খেলা হওয়ার কথা ৯৭ ওভার। গলের মেঘলা বিকেলে সেটা কমে যেতে পারে আরও। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৯০ রান এভারেস্টই বলা উচিত। সাকিব আল হাসানও বাস্তবতা বুঝে বললেন, বাংলাদেশ ড্রয়ের জন্যই খেলবে। তবে সেজন্য অতি রক্ষণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন দেখছেন না। সৌম্য-তামিম যেভাবে খেলছেন, সেটা আদর্শ বলেই মনে করেন সাকিব।
৪৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে দুই ওপেনারের সতর্ক শুরুরই কথা ছিল। তামিম ইকবাল শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলছিলেন, বলতে গেলে কোনো ঝুঁকিই নেননি। দিন শেষে ৪৪ বলে অপরাজিত ১৩ রান সে কথাই বলছে। তবে অন্য প্রান্তে সৌম্য সুরকার ছিলেন দারুণ আগ্রাসী। চোখের জন্য দৃষ্টিসুখকর সব শটে মাত্র ৪৪ বলেই পেয়ে গেছেন ফিফটি। সাকিব বলছেন, আক্রমণ-রক্ষণের এই ভারসাম্যই কাল ধরে রাখতে হবে বাংলাদেশকে, ‘এখনো হাতে দশ উইকেট আছে। সবারই গিয়ে বেশী সময় উইকেটে থাকতে হবে। আবার রানও করতে হবে। বেশি ডিফেন্স করলেও হবে না, বেশি অ্যাটাক করলেও হবে না। ভারসাম্য রাখতে হবে। আজ সৌম্য যেমন খেলেছে। তামিম হয়তো সেরকম বাজে বল পায়নি, সে কারণে শট খেলতে পারনি। দুজনের কাছ থেকেই আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। ’
সৌম্য-তামিমকে তাই যতটা সম্ভব পর্যন্ত ক্রিজে দেখতে চান সাকিব, ‘দুইজন যেভাবে খেলছে, এখানে আসলে ওদের খেলার ধরন বদলাতে হবে বলে আমার মনে হয় না। বল অনুযায়ী খেলবে, যে ধরনের গেমপ্ল্যান আছে, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। সকালের সেশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাইব, ওরা যতক্ষণ পারুক ব্যাটিং করুক। তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয় ।আমাদের আসলে দুই-তিনটি পার্টনারশিপ দরকার । প্রথম সেশনের ওপর সব নির্ভর করছে। আমাদের হাতে উইকেট আছে, এটা ভালো দিক।”
চতুর্থ দিন শেষেও গলের উইকেট এখনো ব্যাটিং-সংহারী নয়। সাকিব অবশ্য নিশ্চিত নন, শেষদিনে পিচ একই রকম থাকবে কি না। তবে সেখানে টিকে থাকতে না পারার কোনো কারণ দেখছেন না, ‘পাঁচ নাম্বার দিনে উইকেট অন্যরকম আচরণ করতেও পারে। এখন বল ঘোরাও শুরু রছে অল্প অল্প। আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটসম্যানদের এখানে খেলতে পারার সামর্থ্য পুরোপুরিই আছে। ড্র করা আমাদের পক্ষে খুবই সম্ভব।’