গলের দুর্গে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ
স্কোর
শ্রীলঙ্কা ৪৯৪ ও ২৭৪/৬
বাংলাদেশ ৩১২ ও ১৯৭ ( সৌম্য ৫৩, মুশফিক ৩৪, লিটন ৩৫ , হেরাথ ৬/৫৯; পেরেরা ২/৬৬ )
এই মেঘ, এই রৌদ্র। গলের আকাশের মতো বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়েও অনুমান করা কঠিন। শুরুতে একের পর এক হোঁচটের পর যখন একটু আশা দেখাচ্ছিলেন মুশফিক-লিটন, তখনই আবার আত্মহত্যার মিছিলে নামলেন দুজন। চা বিরতির অনেক আগেই তাই অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ২৫৯ রানে হেরে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের শুরুটা হলো পরাজয় দিয়েই।
৩৭ রানে প্রথম ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের পরাজয়টা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু লিটন ও মুশফিকের ব্যাটে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চে কী হলো কে জানে, প্রথম ওভারেই আক্ষরিক অর্থেই যেন বুদ্ধিনাশ হলো মুশফিকের। সান্দাকানের বলটা লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেটি তাড়া করতে গিয়ে ৩৪ রানে উইকেটের পেছনে ডিকওয়েল্লাকে ক্যাচ দিয়েছেন। বাংলাদেশের আশার তোরণটা ভেঙে গেল তখনই।
তারপরও লিটন আর মেহেদীর ব্যাটে অন্তত আরও কিছুক্ষণ প্রতিরোধের আশা নিশ্চয় দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার লিটনেরও মাথায়ও কী যেন ভূত চেপে বসল। হেরাথকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ দিলেন থারাঙ্গাকে। এই উইকেটেই ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে ছাড়িয়ে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেটের রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন হেরাথ।
এরপর দলের পরাজয়টা ছিল সময়ের ব্যাপারই। তাসকিন, মুস্তাফিজদের নিয়ে মিরাজ একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। পেরেরাকে চার-ছয় মেরে পাল্টা আক্রমণে রানও পেয়েছিলেন। কিন্তু টেল এন্ডাররা কেউ বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত হেরাথকে উড়িয়ে মারতে গিয়েই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে গেছেন মিরাজ। গলের আকাশে মেঘ ঘনিয়ে এসেছে তখন, বাংলাদেশ দলের আকাশেও তুমুল কালো মেঘ।