• বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা
  • " />

     

    উইকেটের দোষ দেখছেন না মুশফিক

    উইকেটের দোষ দেখছেন না মুশফিক    

    চার বছর আগে এই গলেই ড্র করেছিল বাংলাদেশের। কাল সেই আশা নিয়েই নতুন সকালের অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের আত্মহননে তিন ঘণ্টাতেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। মুশফিকুর রহিম মানলেন, শেষ দিনের উইকেটে এমন কোনো জুজু ছিল না। পুরো দায়টা তাই ব্যাটসম্যানদেরই দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

    চতুর্থ দিন বিকেলেও স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন তামিম- সৌম্য। কিন্তু শেষ দিনে গলের উইকেট হঠাৎ করেই বোলারদের জন্য মৃগয়াক্ষেত্র হয়ে গেল কেন? মুশফিক বলছেন, 'উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন কিছু ছিল না। ব্যাটসম্যানরাই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি, “ব্যাটিং যত ভালো উইকেটই হোক, মানসিক অবস্থা ঠিক না থাকলে, মনযোগ না থাকলে সেটির মূল্য দিতেই হবে।আমরা যদি দেখি এত ভালো উকেটে ওরা এত স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করেছে, আমাদের ব্যাটসম্যানরা যা করেছে, সেটা তো হতাশাজনক। সৌম্য-তামিম যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সেটা সবাইকে আশা দেখিয়েছিল। প্রথম ঘন্টা কাটিয়ে দিলে হয়তো ভালো কিছু করা সম্ভব ছিল। উইকেটে কেমন কিছু ছিল না, কিছু ভালো হয়েছে, সেটা তো হতেই পারে। এটা আমাদের জন্য একটা ব্যর্থতা, অনেক বড় একটা ব্যর্থতা।'

    মুশফিক অবশ্য আশাবাদী, এখনো সিরিজে একটা টেস্ট আছে। সামনেই বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে, ‘আমাদের সুযোগ ছিল ভালো কিছু করার। অবশ্যই ওরা ভালো দল, কিন্তু আমরা নিজেরাই ভুল করেছি। তবে এখনো একটা টেস্ট আছে। আমরা চাইব, ব্যাটিং বা বোলিং দুই দিক দিয়েই যেন আমরা ভালো খেলার ধারায় ফিরতে পারি।’

    কিন্তু ব্যাটসম্যানরা কি বেশি তাড়াহুড়ো করছিলেন না? সকালে প্রথম বলেই সৌম্য ব্যাট চালিয়ে খেলতে গেলেন। পরের বলে তো লাইন মিস করে বোল্ড। মুশফিক-লিটন নিজেরাও উইকেট দিয়ে এসেছেন। মুশফিক বলছেন, টিকে থাকার মানেই রান নিয়ে ক্রিজে পড়ে থাকতে হবে এমন কথা নেই। নিজের স্বাভাবিক খেলা থেকেই সেটি করা যায়, আপনি যখন জয়ের জন্য চিন্তা করবে না প্রতিপক্ষ চাপে রাখার জন্য অন্যভাবে আক্রমণ করবেই। সারাদিন ধরে ঠেকানো অবশ্যই খুব কঠিন। সবারই যার যার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলা উচিত। তবে সেটা সবচেয়ে কম ঝুঁকি নিয়েই হতে হবে।’

    মুশফিক আশাবাদী, এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেবে দল, ‘আজকে যেটা হয়েছে সেটা খুবই হতাশাজনক। এখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষণীয় ব্যাপার আছে। ভালো বলে আউট হতেই পারে, কিন্তু আমরা নিজেরাই উইকেট দিয়ে এসেছি। আমাদের সবারই অ্যাভারেজ প্রায় ৩০-৩৫-৪০। পরের টেস্টে আমাদের প্ল্যান, টপ অর্ডার যত বেশি সম্ভব রান করা। শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’