ধনঞ্জয়ের উইকেটের পরও আফসোসের সেশন
শ্রীলঙ্কা
চা বিরতি, প্রথম দিন
৫৪ ওভারে ১৪৯/৫ (চান্ডিমাল ৫৪*, ডি সিলভা ৩৪, ডিকওয়েলা ১১*; মিরাজ ২/৪৭, তাইজুল ১/১৯)
প্রথম সেশনটা স্বপ্নের মতো কেটেছিল। দ্বিতীয় সেশনে সেই স্বপ্নের রেশ শেষ হয়ে এলো অনেকটাই। ধনঞ্জয় ডি সিলভার উইকেটটাই এই সেশনে বাংলাদেশের একমাত্র সুখস্মৃতি। তবে মুশফিক আফসোস করতে পারেন, ভাগ্য একটু পক্ষে থাকলে আরেকটি উইকেট অন্তত বাংলাদেশ পেতেই পারত।
৭০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় সেশনে হাল ধরেছিলেন চান্ডিমাল ও ডি সিলভা। তবে অন্তত তিন বার আউট থেকে বেঁচে গেছেন চান্ডিমাল। ৩৪ রানের সময় শুভাশীষের ওভারে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন। সাকিবের থ্রোটা স্টাম্পে লাগে তখনই ফিরে যেতে হতো তাঁকে।
চার রান পর আবারও পার পেয়ে যান চান্ডিমাল। এবারও সাকিবের দুর্ভাগ্য, তাঁর বলে শুরুতে আঙ্গুল তুলেছিলেন আম্পায়ার এস রবি। তবে চান্ডিমাল রিভিউ নেন, সেখানে বল ব্যাটে লাগেনি রায় দিয়ে তৃতীয় আম্পায়ার নট আউট দেন চান্ডিমালকে।
৪৭ রানের মাথায় আবারও চান্ডিমালের সৌভাগ্য। এবার তাইজুলের বল সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন স্কয়্যার লেগে। দূর থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু তার আগে বলটা মাটিতে লেগেছে কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিল আম্পায়ারের। তৃতীয় আম্পায়ারও নিশ্চিত হতে না পারায় শেষ পর্যন্ত বেনিফিট অব ডাউট পেয়েছেন চান্ডিমালই।
তৃতীয় সেশন যখন এমন হতাশায় যাচ্ছিল, তখনই উদযাপনের সুযোগ এনে দিলেন তাইজুল। ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে বোল্ড করে ভেঙে দিলেন ৬৬ রানের জুটি। বাকি সময়টা ডিকওয়েলাকে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন চান্ডিমাল, পেয়ে গেছেন ফিফটিও। বাংলাদেশ পরের সেশনে তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব আউট করে ফেলতেই চাইবে।