এমন দিনেও মুশফিকদের আক্ষেপ?
স্কোর
১ম দিন শেষে
শ্রীলঙ্কা ৮৩.১ ওভারে ২৩৮/৭ (চান্ডিমাল ৮৬*, হেরাথ ১৮*; মুস্তাফিজ ২/৩২, মিরাজ ২/৫৮)
টস হারার পর আজকের দিন শেষের স্কোকার্ডটা নিশ্চয় মুশফিকুর রহিম দুহাত ভরে নিতেন। তবে শেষ বিকেলে বাংলাদেশ অধিনায়কের একটু আক্ষেপ থাকতেই পারে। বাগে পেয়েও যে শ্রীলঙ্কার লেজ গুটিয়ে দেওয়া যায়নি। শ্রীলঙ্কাকে এখন পর্যন্ত ম্যাচে রাখার কিছুটা কৃতিত্ব প্রাপ্য দীনেশ চান্ডিমালেরও। ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে কাল দিন শুরু করবেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান।
তারপরও অন্তত দ্বিতীয় সেশনের চেয়ে শেশ সেশনটা ভালোমতোই মনে রাখবেন মুশফিক। ধনঞ্জয় ডি সিলভার আউটের পর ডিকওয়েলাকে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে শক্ত ভিতের ওপরেই নিয়ে যাচ্ছিলেন চান্ডিমাল। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের রান হয়ে গিয়েছিল ৪৪। পাল্টা আক্রমণে এর মধ্যে ৩৪ রানই ডিকওয়েলারই। ওই সময়েই সাকিবের বলে রিভার্স সুইপ করতে বোল্ড হয়ে গেলেন ডিকওয়েলা। ১৮৬ রানে শ্রীলঙ্কা হারাল ষষ্ঠ উইকেট। দিলরুয়ান পেরেরা আগের টেস্টেই ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন। আজও তাইজুলকে ছয় মেরে তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন। তবে মুস্তাফিজের অফ স্টাম্পের বাইরের একটা বল তাড়া করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন সৌম্যকে।
হেরাথ অবশ্য শুরুতেই আউট হয়ে যেতে পারতেন। মুস্তাফিজের বলে অল্পের জন্য খোঁচা দেননি। সাকিবের বলে এলবিডব্লু হয়ে গিয়েছিলেন, পরে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন, চেষ্টা করেও অষ্টম উইকেটে দুজনের ৪৩ রানের জুটিটা ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। কাল বাংলাদেশ নিশ্চয় চাইবে, যত দ্রুত সম্ভব শ্রীলঙ্কার লেজটা গুটিয়ে দিতে। পিস আরা ওভাল এখন পর্যন্ত ব্যাটিং উপযোগী থাকলেও ধীরে ধীরে সেটি কঠিন হয়ে যেতে পারে। পরে ব্যাট করে বাংলাদেশের কাজটা তাই সহজ হবে না মোটেই।