তৃতীয়বার আর জীবন পেলেন না তামিম
স্কোর
চা বিরতি, দ্বিতীয় দিন
শ্রীলঙ্কা ৩৩৮
বাংলাদেশ ২৭.৪ ওভারে ৯৫/১ (তামিম ৪৯, সৌম্য ৪০*)
সেশনের প্রায় শেষ, আর কয়েকটা বল কাটিয়ে দিলেই চা বিরতি। কিন্তু আগের অনেকবারের মতো আবারও বিরতির আগেই ঘটল ধৈর্যচ্যুতি। হেরাথের বলটা ভুল লাইনে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন তামিম। এক রানের জন্য ফিফটি পাওয়া হলো না। বাংলাদেশের অসাধারণ এক সেশনের শেষটা যেন একটু রঙ হারাল। অন্য প্রান্তে সৌম্য সরকার অবশ্য অপরাজিত আছেন ৪০ রানে।
তামিমকে অবশ্য সৌভাগ্যবানই বলতে হবে। এর আগে দুবার বেঁচেই গিয়েছিলেন। শুরুতে একবার লাকমলের বল প্যাডে লাগলে রিভিউ নেয়নি শ্রীলঙ্কা। রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিল, বল লেগ স্টাম্পেই লেগেছিল। রিভিউ নিলে আউট হয়ে যেতে পারতেন। তামিমের রান তখন ২।
তবে ওই ধাক্কা সামলে সৌম্যের সঙ্গে আস্তে আস্তে থ্রু হয়েছে। শুরুতে দেখেশুনেই খেলছিলেন, তবে ধীরে ধিরে তামিম খেলেছেন দারুণ সব স্ট্রোক। লাকমলকে করা স্ট্রেট ড্রাইভ বা পেরেরাকে করা কভার ড্রাইভ তো অনেক দিন মনে রাখার মতো। এর মধ্যেই আবার পেয়েছেন ভাগ্যের ছোঁয়া।
পেরেরার বলটাই শাফল করে খেলতে গিয়ে আবার লাগিয়েছিলেন প্যাডে। এবার ডিকওয়েলার অনুরোধের পরও রিভিউ নেননি হেরাথ। রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল ব্যাটে তো লাগেইনি, স্টাম্পেই লেগেছিল। রিভিউ নিলে আউট হয়ে যেতে পারতেন তামিম।তাঁর রান তখন ২৩।
এদিকে সৌম্যের সঙ্গে ৫০ রানের জুটিও হয়ে গেছে তখন। টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা তিনটি ৫০ রানের জুটি গড়লেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। আর শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ওপেনারের টানা ৫০ রানের তিন জুটির কীর্তি ২০১০ সালের পর এটাই প্রথম। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সেটি করেছিলেন তিলকারত্নে ও পানাভিতারানা। তামিমের ফিফটি পাওয়াটা যখন সময়ের ব্যাপার, আঘাত হানলে হেরাথ। এবারও আম্পায়ার আউট দেননি, রিভিউ নিয়েই রায় গেছে হেরাথের পক্ষে।