মুশফিকের আউটেও বাংলাদেশের লিডের আশা
স্কোর
৩য় দিন, লাঞ্চ
শ্রীলঙ্কা ৩৩৮
বাংলাদেশ ৮৮ ওভারে ৩১৬/৬ (সাকিব ৫৪*, মুশফিক ৫২; সান্দাকান ৩/১০২ )
আগের দিন ব্যাটিং কোচ সামারাবীরা বলে গিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কার ইনিংস টপকে যেতে পারলেই তিনি খুশি। সেজন্য প্রথম আধ ঘণ্টা কোনো উইকেট হারানো যাবে না। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে বাংলাদেশের ব্যাটিং অন্তত সে ভরসা দিচ্ছিল না। তৃতীয় দিনে অবশ্য কোচের দুই চাওয়াই পূরণ হয়েছে, প্রথম আধ ঘন্টা কাটিয়ে দিয়েছে ভালোমতোই। মুশফিকের আউটটা না হলে সেশনটা বাংলাদেশের জন্য স্বপ্নেরই হতে পারত।
অবশ্য দিনের প্রথম বলেই রান আউট হয়ে যেতে পারতেন সাকিব। উইকেটকিপারের হাতে থ্রো ঠিকঠাক এসে না পড়ায় একটুর জন্য বেঁচে গেছেন সেবার। তবে সাকিব আগের দিনের মতো পাগুলে শট খেলেননি, অন্য প্রান্তে মুশফিকই বরং তাঁর চেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন। দুজন মিলে কোনো ঝুঁকি না নিয়েই তুলে ফেলছিলেন রান। এর মধ্যে একবার অবশ্য এলবিডব্লুর আবেদন থেকে বেঁচে গেছেন মুশফিক।
দুজনের আগের দিনের সঙ্গে ২১ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৭৬ রান। ফিফটি হয়ে গিয়েছিল মুশফিকের, দেখাচ্ছিলেন বড় কিছুর আশা। তখনই হঠাৎ ধৈর্য্যচ্যুতি। লাকমলের ভেতরে ঢোকা বলটা ড্রাইভ করতে গিয়েই বলের লাইন মিস করেন। বোল্ড হয়ে ৫২ রানেই থেমে যায় মুশফিকের ইনিংস। সাকিবের সঙ্গে সব মিলে ২২৬৫ রান হয়ে গেছে মুশফিকের। বাংলাদেশের পক্ষে যে কোনো জুটিতে এর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু ইমরুল-তামিমের (২২৭৫)।
সাকিব অবশ্য তার আগেও আরও একবার ‘জীবন’ পেয়েছেন। মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটও হতে বসেছিলেন। ফিফটিও পেয়েছেন ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েই, লাকমলের বলটা আগের দিনের মতোই উড়িয়ে মেরেছিলেন। ডিপ স্কয়্যার লেগে ফিল্ডার আরেকটু পেছনে থাকলে আউটই হয়ে যেতে পারতেন। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেককে নিয়ে সেশনটা শেষ করেছেন ভালোয় ভালোয়। টেস্টে এই প্রথম বাংলাদেশের হয়ে টপ অর্ডারের সবাই অন্তত ৩০+ ইনিংস খেললেন। বাংলাদেশও এখন প্রথম ইনিংসে লিডের স্বপ্ন দেখতেই পারে।