মুস্তাফিজ-সাকিব ম্যাচে ফেরালেন বাংলাদেশকে
স্কোর
চতুর্থ দিন, চা বিরতি
শ্রীলঙ্কা ৩৩৮ ও ১৯৯/৬ (করুনারত্নে ১১০; মুস্তাফিজ ৩/৪২, সাকিব ২/৪২ )
বাংলাদেশ ৪৬৫
উইকেটে ছিল না এমন কোনো জুজু। প্রথম সেশনে থারাঙ্গারা আউটই ছিল একমাত্র সাফল্য। ম্যাচটা যখন বাংলাদেশের মুঠো থেকে প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছে, তখনই সেটা আঁকড়ে ধরলেন মুস্তাফিজ-সাকিব। এক সেশনে ৫ উইকেটে কলম্বো টেস্টে জয়ের সুবাসও একটু একটু করে পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। চা বিরতি পর্যন্ত ৭০ রানে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা, হাতে আছে ৪ উইকেট। তবে সবচেয়ে বড় কাঁটা হয়ে এখনো টিকে আছেন করুনারত্নে।
সকালের প্রথম সেশনে সেই অর্থে কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে থারাঙ্গার আউটের পর বাকি সময়টা পার করে দিয়েছিলেন করুনারত্নে ও মেন্ডিস। তবে লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উদযাপনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মুস্তাফিজের বলটা মুশফিকের হাতে জমা হওয়ার পর শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউতে আম্পায়ার রায় দেন, বলটা মেন্ডিসের ব্যাটে আলতো ছোঁয়া লেগে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার ধসের সেই শুরু।
এরপর ঠিক একইভাবে অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করেই আত্মঘাতী হয়েছেন। চান্ডিমালও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে হয়েছেন মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার। চার ওভার পর আবার সাকিবের আঘাত, এবার বল ছেড়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু গুনারত্নে। পরের ওভারে আবার আগের চিত্রনাট্য, অফ স্টাম্পের বাইরে খোঁচা দিয়ে আউট ধনঞ্জয় ডি সিলভা। ১৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলল শ্রীলঙ্কা।
ডিকওয়েলাও ফিরে যেতে পারতেন খুব তাড়াতাড়ি। সাকিবের জোরালো আবেদনে রিভিউ থেকে একটুর জন্য বেঁচে গেছেন। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি, সুইপ করতে গিয়ে বাংলাদেশের পাতা ফাঁদেই পা দিয়েছেন। উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচে মুশফিক পেয়েছেন টেস্টে নিজের শততম ডিসমিসাল। ৩৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা।
ওদিকে করুনারত্নে তখন অবশ্য সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন। চা বিরতির আগ পর্যন্ত দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে আর কোনো বিপদ হতে দেননি। শেষ সেশনে এই দুজনকে যত শিগগির সম্ভব আউট করে ফেলতে চাইবে বাংলাদেশ। কে জানে, শততম টেস্টে তখন দারুণ কিছু হয়েও যেতে পারে।