সামর্থ্যের সেরাটা চান মাশরাফি
একদিনের আন্তর্জাতিকে এ পর্যন্ত ৩৮ বার শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়ে জয় মাত্র ৪টিতে, যার ৩টিই আবার নিজেদের মাটিতে। তবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দেশে শেষবার ওয়ানডে খেলতে নেমে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের ওই ম্যাচের পর অবশ্য আরও ৫টি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়ে হারতে হয়েছে। কিন্তু গত বিশ্বকাপ থেকে অনেকটা বদলে যাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে আর ওয়ানডে খেলা হয় নি শ্রীলংকার। একদিনের ক্রিকেটে দারুণ সময় কাটানো বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য আগে-পরের হিসেবনিকেশে যেতে চান না। ডাম্বুলায় কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের আগে দু’ দলকেই সমান উচ্চতায় রাখছেন মাশরাফি। সেই সাথে বলছেন, নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে জয় পাওয়াটা অসম্ভব হবে না।
সদ্যই শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক সে জয় কি ওয়ানডে সিরিজেও প্রেরণা যোগাবে না? বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য বাস্তবতা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে, শ্রীলঙ্কার এই দলটি টেস্টের তুলনায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশি শক্তিশালী। তাদের মাটিতে তাদের বিপক্ষে ভালো কিছু করা খুব একটা সহজ হবে না।”
কিন্তু একদিনের ক্রিকেটে তো বাংলাদেশও এখন নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিচ্ছে বেশ ভালোভাবেই। এখানেও মাশরাফি মনে করিয়ে দিচ্ছেন সেটা মূলত দেশের মাটিতেই, “এই তো কয়েক মাস আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সবগুলো ম্যাচই হেরেছি। সম্ভাবনা জাগিয়েছি, জেতার পরিস্থিতিও তৈরি করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। এবার আবার বিদেশের মাটিতে খেলা। তবে আমি আগে ও পরের কোনো কিছু নিয়ে ভাবি না। আমার মনে হয় দু’ দল সমান সমান থেকেই মাঠের লড়াই শুরু করবে।”
আর সেরাটা দিয়ে খেললে সে লড়াইয়ের ফল নিজেদের পক্ষে আনা সম্ভব বলেই মনে করছেন অধিনায়ক, “এটা এক ধরণের চ্যালেঞ্জ। আর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দরকার মাঠের পারফরম্যান্স। শুরুটা ভালো করতে চাই। সবাই সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারলে জয় পাওয়া অসম্ভব নয়।”