বাংলাদেশের পাহাড় ভাঙতে ইতিহাস গড়তে হবে শ্রীলংকাকে
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বাংলাদেশ ৩২৪/৫, ৫০ ওভার (তামিম ১২৭, সাকিব ৭২, সাব্বির ৫৪, মোসাদ্দেক ২৪*; লাকমল ২/৪৫)
ডাম্বুলায় এর আগে একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩ শতাধিক রানের সংগ্রহ ছিল কেবল ২টি, দুটোতেই প্রথমে ব্যাট করা দল জিতেছিল শতাধিক রানের ব্যবধানে। পাকিস্তানের করা সবচেয়ে বেশি ৩৮৫ রানের সংগ্রহটা ছিল আবার বাংলাদেশের বিপক্ষেই। লজ্জার সেই রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও ডাম্বুলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা এখন বাংলাদেশেরই। স্বাগতিকদের বিপক্ষেও এই মাঠে এটাই এখন সবচেয়ে বড় সংগ্রহ। আর এখানে সবচেয়ে বেশি ২৮৯ রান তাড়া করে শ্রীলংকা জিতেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ৩২৫ রানের লক্ষ্য পেরোতে গেলে শ্রীলংকাকে তাই গড়তে হবে নতুন রেকর্ডই।
আপাতদৃষ্টে নিষ্প্রাণ উইকেটে শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সৌম্য সরকার সুরঙ্গা লাকমলের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি ভুল বুঝে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তোলেন। তামিমের সাথে সাব্বিরের ৯০ রানের জুটিতে এরপর বড় সংগ্রহের পথে হাঁটে সফরকারীরা। ৪৮ বলে ৯ চারে ফিফটি তুলে নেয়া সাব্বির আর ১ চার মেরেই থারাঙ্গার দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে ফিরে যান। পরের ওভারে মুশফিক সান্দাকানের ফুল টস তাঁর হাতেই তুলে দিয়ে ফিরলে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ১২০।
তামিমের সাথে সাকিবের ১৪৪ রানের জুটিতে সে বিপর্যয়ও কাটে। তামিম একপ্রান্তে হাত খুলে খেলে গেলেও সাকিব রান তুলতে থাকেন স্ট্রাইক রোটেট করে। প্রথম ২৭ রান দৌড়েই নেয়া সাকিব ৩৩তম ওডিআই ফিফটি তুলে শেষ পর্যন্ত ৭১ বলে ৭২ করে ফেরেন ৪ চার আর ১ ছয়ে। এর আগে ক্যারিয়ারের অষ্টম ওডিআই সেঞ্চুরি তুলে নেয়া তামিম ৪৮তম ওভারে আউট হন ১৪২ বলে ১২৭ করে, ১৫ চার আর ১ ছয়ে। স্কোরবোর্ডে রান ততোক্ষণে ৫ উইকেটে ২৮৯। মোসাদ্দেক-মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে সেটা শেষ পর্যন্ত থামে ৩২৪ রানে। মোসাদ্দেক ৯ বলে ৩ চার আর ১ ছয়ে ২৪ ও মাহমুদুল্লাহ ৭ বলে ১ ছয়ে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।