• বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা
  • " />

     

    'বড় ইনিংসে সবসময় সবকিছু মনের মতো হয় না'

    'বড় ইনিংসে সবসময় সবকিছু মনের মতো হয় না'    

    শুরুটা হয়েছিল বেশ দারুণ। বল ব্যাটে আসছিল, দারুণ কয়েকটি শটে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন পি সারা ওভালের উত্তুঙ্গু আত্মবিশ্বাসের হাওয়াটা এসে পড়েছে ডাম্বুলাতেও। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেই দিনটা স্মরণীয় করে রেখেছেন তামিম ইকবাল। তবে নিজেই জানিয়েছেন, একটা সময় রান পেতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। ড্রেসিংরুমের বার্তা পেয়েই তখন ধৈর্য্য ধরে খেলে গেছেন। 


    সৌম্য সরকারের সঙ্গে শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল তামিমের। তবে চল্লিশের ঘর পেরুনোর পর রানের চাকাটা একটু স্লথ হয়ে যায় তাঁর। ওদিকে পাঁচ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশও পড়ে যায় চাপে। তামিম তাই জানিয়েছেন, ''দেখেন, যখন আমি ৪০ রানের ঘরে ছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল ভালোভাবে স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলাম না, ওরাও ওই সময় বেশ ভালো বল করছিল। ওই সময় আরো একটা উইকেট হারালে হয়তো আমরা বড় একটা স্কোর গড়তে পারতাম না।''


    আগের বেশ কয়েকটি ইনিংসে এই সময়ে এসেই ধৈর্য্যচ্যুতি হয়েছিল তামিমের। তবে এবার কোচ-অধিনায়কের বার্তা পেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ওই সময়টা পার করেছেন, ''ড্রেসিংরুম থেকে আমাকে তখন ধরে খেলার বার্তাই দেওয়া হয়েছিল। আপনি যদি খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন মাশরাফি ভাই আমাকে বার বার ইশারা করেছেন ক্রিজে থাকতে। আর বড় ইনিংসে সবসময় মনের মতো সবকিছু হয় না, ব্যাড প্যাচের মধ্য দিয়েও যেতে হতে পারে।'' 


    সাকিবের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটিটা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। তামিম সেটির কথাও বললেন আলাদা করে, 'সাকিবের ইনিংসটা আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে। সে যেভাবে খেলেছে এক-দুই ওভার বেশি ব্যাটিং করলে আমি নিশ্চিত, ও সেঞ্চুরি পেত।'