• বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা
  • " />

     

    বাংলাদেশের সামনে 'অসম্ভবের' হাতছানি

    বাংলাদেশের সামনে 'অসম্ভবের' হাতছানি    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ শ্রীলঙ্কা ৩১১, ৫০ ওভার (কুশল মেন্ডিস ১০২, উপুল থারাঙ্গা ৬৫, গুণারত্নে ৩৯; তাসকিন ৪/৪৭)

     

    ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শুরুতেই মাশরাফির এনে দেয়া ব্রেক থ্রুটা সেভাবে কাজে লাগাতে পারে নি বাংলাদেশ। কুশল মেন্ডিসের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি আর ২০০তম ওয়ানডেতে উপুল থারাঙ্গার ফিফটি পুঁজি করে রানের পাহাড়ে চড়ার ইঙ্গিতই দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে শেষ ক’ ওভারে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা খুব বড় হতে দেন নি বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের হ্যাট্রিকে অলআউট হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩১১ রান। জিততে হলে অবশ্য ডাম্বুলার মাঠে প্রথমবারের মতো ৩ শতাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডই গড়তে হবে বাংলাদেশকে।

     

    ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই গুনাথিলাকাকে উইকেটের পিছনে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু এরপর উপুল থারাঙ্গা আর কুশল মেন্ডিসের ১১১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে হাটে স্বাগতিকরা। মাহমুদুল্লাহর সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরার আগে থারাঙ্গা ৯ চারে করেন ৬৫ রান।

     

     

    মেন্ডিস অবশ্য নিষ্প্রাণ উইকেটের সবটুকু সুবিধে নিয়ে অভিষেক ওয়ানডে সেঞ্চুরি (১০২) করেই ফেরেন তাসকিনের কট এন্ড বোল্ড শিকার হয়ে। এর আগের ওভারে চান্দিমালকে ব্যক্তিগত ২৪ রানে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজ।

     

    ২১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা শ্রীলংকাকে এরপর পথ দেখান গুণারত্নে ও সিরিবর্ধনে। ৫৫ রানের জুটিতে আপাত বিপদ কাটিয়ে সিরিবর্ধনে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত ৩০ রানে, দলীয় ২৭১ রানে। থিসারা ও দিলরুয়ান পেরেরাকে সরাসরি থ্রোতে রান আউট করে লংকানদের রানের চাকায় বাঁধ দিয়েছিলেন মুশফিক। তবে গুণারত্নের ২৮ বলে ৩৯ রানে ৩০০ পেরোয় সংগ্রহ। অবশ্য সেটা খুব বড় হতে দেন নি তাসকিন আহমেদ। ৫০তম ওভারের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম বলে হ্যাট্রিক করা বাংলাদেশি পেসার গুণারত্নেকে সৌম্য আর লাকমলকে মুস্তাফিজের ক্যাচ বানানোর পর নুয়ান প্রদীপকে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করে ফেরান।