• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান
  • " />

     

    শেষ ওভারে শেষ রক্ষা হলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজের

    শেষ ওভারে শেষ রক্ষা হলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজের    

    স্কোর 
    পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৩২ 
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ১২৯/৮ 
    ফল: পাকিস্তান ৩ রানে জয়ী 



    শেষ বলে দরকার ৫ রান, টাই করতে হলে দরকার ৪। স্ট্রাইকে জেসন হোল্ডার আগের ওভারেই মেরেছেন একটা চার, ১৬ বলে করে ফেলেছিলেন ২৬ রান। কিন্তু হাসান আলী মাথা ঠান্ডা করে যে ইয়র্কার লেংথের বল করলেন, হোল্ডার তা থেকে নিতে পারলেন মাত্র ১ রান। ওভারের শুরুতে পর পর দুই চারে যখন ম্যাচটা প্রায় হাত থেকে ফসকে দিতে বসেছিলেন, পরের চার বলে মাত্র ২ রান দিয়ে পাকিস্তানকে আবার ফিরুয়ে আনলেন হাসান। চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে  গেল পাকিস্তান। নিজেদের টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে কম রান করে জেতার রেকর্ড আছে মাত্র একটি।


    অবশ্য হাসান নয়, ম্যাচের আসল নায়ক শাদাব খান। তরুণ লেগ স্পিনার পিএসএলে দারুণ খেলে আলো ছড়িয়েছেন। অভিষেকে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে গড়েছিলেন রেকর্ড। আজও তাঁর লেগ স্পিনেই সবচেয়ে বেশি ভুগেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দুর্দান্ত খেলছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। তখনই দৃশ্যপটে শাদাবের আগমন। দারুণ এক গুগলিতে ওয়ালটনকে বোল্ড করে শুরু। পরের ওভারেই হাসান আলির বলে আউট হলেন সিমন্স।


    শাদাব আবার আঘাত হানলেন পরের ওভারে। এবার পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দিলেন পোলার্ড ও রভম্যান পাওয়েলকে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তখন ১১ ওভারে তুলে ফেলেছে ৭৬ রান, স্যামুয়েলস যেমন খেলছিলেন তাতে পাকিস্তানের ১৩৩ রানের ছোট লক্ষ্য আরও ছোট মনে হচ্ছিল। তবে শাদাব সবচেয়ে বর আঘাত হেনেছেন নিজের শেষ বলে। ৩৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের পর ফিরে গেছেন স্যামুয়েলস। তবে এরপর ব্রাথওয়েটকে নিয়ে হোল্ডার হাল ধরেছিলেন। ব্রাথওয়েট আউট হলেও নিজে শেষ ওভার পর্যন্তই খেলা নিয়ে গিয়েছিলেন। পর পর দুই বলে চার মেরে নারাইনও শুরুটা ভালো করেছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। 


    তার আগে অবশ্য হয়ে গেছে একটা দুর্ঘটনা, ওয়ালটনের সঙ্গে সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছেড়েছেন শেহজাদ। পাকিস্তানও শুরু থেকে খাবি খেয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ঠিক ২০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করেছেন ১৩২।