• বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা
  • " />

     

    কলম্বোর সঙ্গে চট্টগ্রামেও বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

    কলম্বোর সঙ্গে চট্টগ্রামেও বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে শ্রীলঙ্কা    

    সকালে যখন কলম্বর সিংহলিজ ক্রিকেট ক্লাবে টস করতে নেমেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মুমিনুলরা এর মধ্যেই পড়ে গেছেন ঘোর বিপদে। ইমার্জিং কাপেও কলম্বোর মতো বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাই, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দু জায়গাতেই ধুঁকছিল বাংলাদেশ।

    টসে জিতে প্রবল গরমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু আগের ম্যাচের মতোই আজও শুরু থেকে এলোমেলো বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ওভারেই আট রান দিয়ে শুরু মাশরাফির, এরপর মুস্তাফিজও দিয়েছেন আট রান। আগের দিনের মতো আজও মুস্তাফিজের শুরুটা ভালো হয়নি, প্রথম স্পেলে দিয়েছেন ২৫ রান। প্রথম ১০ ওভারেই ৭৬ রান তুলে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা, দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও গুনাতিল্কে ম্যাচটা বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল।

    এরপরেই অবশ্য ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। মিরাজের বলে মাহমুদউল্লাহকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন গুনাতিলকে, তাঁর রান তখন ৩৪। থারাঙ্গা আগের দিনের মতো আজও বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন, তবে ৩৫ রান করে বোল্ড হয়ে গেছেন তাসকিনের বলে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্যাট করছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিস ও দীনেশ চান্ডিমাল, দুজনের জুটিটা ৩০ রানও পেরিয়ে গেছে।

    তবে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের ভরাডুবিটা হয়েছে আরও ভয়াবহ। ২০ রানেই পর পর তিন বলে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ, ইমার্জিং কাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন আসিথা ফার্নান্দো। দলের ৪৬ রানে আউট হয়ে গেছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। এরপর সাইফ হাসান ও নাসির হোসেন মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ৩২ রান করে ফিরে গেছেন সাইফও। নাসিরও বেশিক্ষণ থাকেননি, দলের ১২০রানে ফিরে গেছেন সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্রিজে ব্যাট করছিলেন সাইফ উদ্দিন ও আবুল হাসান রাজু, দুজনের জুটিটাও ৪৫ রানের হয়ে গিয়েছিল। ৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৭ উইকেটে ১৬৫।