১৯ বছরের রেকর্ড ভাঙতে পারবে বাংলাদেশ?
স্কোর
শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ২৮০/৯ (মেন্ডিস ৫৪, থিসারা পেরেরা ৫২; মাশরাফি ৩/৬৫, মুস্তাফিজ ২/৫৫)
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব সবসময়ই ব্যাটসম্যানদের জন্য সাহায্যের হাতই বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আজকের উইকেটটা আরও বেশি ব্যাটিং-স্বর্গ। একটা সময় এখানে ৩০০ রানও অনায়াসে পেরিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ তাদের থামাতে পেরেছে ২৮০ রানেই। সিংহলিজ মাঠে এর চেয়ে বেশি রান করে জয়ের কীর্তি অবশ্য আছে একটিই। ১৯৯৮ সালে জিম্বাবুয়ের ২৮৫ রান তাড়া করে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সামনে আজ ১৯ বছরের রেকর্ড ভাঙার হাতছানি।
অথচ ম্যাচের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। নতুন বলে শুরু থেকেই খাবি খাচ্ছিলেন মাশরাফি-মুস্তাফিজরা। দুই ওপেনার মিলে ১০ ওভারে ৭৭ রানও তুলে ফেলেছিলেন। তবে এরপরেই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। গুনাতিলকেকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন মিরাজ। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে যান থারাঙ্গাও।
তবে শ্রীলঙ্কার রানের চাকা তারপরও খুব একটা স্লথ হয়নি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দীনেশ চান্ডিমাল বেশ দ্রুতই রান তুলছিলেন। দুজনের ৪৯ রানের জুটিটা ভেঙেছে বেশ অদ্ভুতভাবে। দুই রান নিতে গিয়ে ক্রিজে অনায়াসেই ঢুকে পড়েছিলেন চান্ডিমাল। কিন্তু মুশফিক যখন স্টাম্প ভেঙে দেন, চান্ডিমালের ব্যাট আর দুই পা ছিল শুন্যে। হতভম্ব হয়েই ফিরে যেতে হয় চান্ডিমালকে।
রান আউটেই এরপর আরেকটি ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। এবারও বড় অবদান মুশফিকের, শুভাগতর থ্রোটা বিদ্যুতবেগে ধরে যখন স্টাম্প ভেঙে দেন, সিরিবর্ধনা ক্রিজের বাইরে। এই সিরিজে এ নিয়ে ২৫ শতাংশ শ্রীলঙ্কার আউটই হলো রান আউট।
তবে মেন্ডিস ও গুনারত্নে তারপরও বড় কিছুর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই দৃশ্যপটে মুস্তাফিজ, দারুণ এক স্পেলে মেন্ডিসকে বাধ্য করেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতেন। এরপর শ্রীলঙ্কার রানের গতি কমে যায়, ফিরে যান গুনারত্নে-প্রসন্নও। তখন শ্রীলঙ্কার রান ২৭৫ হবে কি না সংশয় ছিল।
তবে আবার সেখান থেকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন থিসারা পেরেরা। একটু থিতু হয়েই মারমুখী হয়ে খেলেছেন, দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটিও গড়ে ফেলেছিলেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল, শ্রীলঙ্কার রান ২৯০ পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। কিন্তু মুস্তাফিজ, মাশরাফির জন্য শেষ দুই ওভারে ১৫ রান নিতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। শেষ ওভারে দুই উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি।