বাংলাদেশকে সেই জয়টাই ফিরিয়ে দিল শ্রীলংকা
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ শ্রীলংকা ২৮০/৯, ৫০ ওভার (মেন্ডিস ৫৪, পেরেরা ৫২; মাশরাফি ৩/৬৫, মুস্তাফিজ ২/৫৫); বাংলাদেশ ২১০, ৪৪.৩ ওভার (সাকিব ৫৪, মিরাজ ৫১; কুলাসেকারা ৪/৩৭, লাকমাল ২/৩৮)
ফলঃ শ্রীলংকা ৭০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ থিসারা পেরেরা (শ্রীলংকা)
শ্রীলংকার মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ভালো সম্ভাবনাই ছিল বাংলাদেশের সামনে। স্বাগতিকদের ২৮০ রানে বেঁধে রেখে মঞ্চটা একরকম প্রস্তুত রেখেছিলেন বোলাররা, তবে ব্যাটসম্যানরা সেটার প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি। পুরনো দিনে ফিরে গিয়ে উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১০ রানে। প্রথম ম্যাচে ৯০ রানের জয়টাই যেন সফরকারীরা ফিরিয়ে নিল ৭০ রানে হেরে গিয়ে।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে তাঁর এমন সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি প্রশ্নবিদ্ধ করেই উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে ১০.৪ ওভারেই ৭৬ রান তুলে ফেলে শ্রীলংকা। মিরাজের দেয়া ব্রেকথ্রুতে গুনাথিলাকা ব্যক্তিগত ৩৪ রান নিয়ে ফেরার পর তাসকিন আহমেদ বোল্ড করে ফেরান উপুল থারাঙ্গাকে, ব্যক্তিগত ৩৫ রানে। পরিত্যক্ত হওয়া আগের ম্যাচে শতক পাওয়া কুশল মেন্ডিসের (৫৪) অর্ধশতকে আজও পথ খুঁজে পায় শ্রীলংকা, সঙ্গে চান্দিমাল (২১) আর গুণারত্নেরা (৩৪) স্কোরবোর্ড সচল রাখতে সাহায্য করেন। তবে মুস্তাফিজ-মাশরাফির বোলিং তোপে একটা সময় ২৩০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর থিসারা পেরেরার ৪০ বলে ৫২ রানের ক্যামিওতে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
সে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরু থেকেই খেই হারায় বাংলাদেশ। তামিম, সাব্বির, মুশফিকরা থিতু হওয়ার আগেই উইকেট দিয়ে আসলে ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। সৌম্য-সাকিবের ৭৭ রানের জুটিতে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু সৌম্য ৩৮ আর সাকিব ৫৪ রানে ফিরলে আবারও ধ্বস নামে ব্যাটিংয়ে, মোসাদ্দেক-মাহমুদুল্লাহরা ১ অংকের রানে ফিরলে ১২৭ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথমবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েই ফিফটি করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর ৫১ রানের ইনিংসটি এখন বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, সবচেয়ে বেশি ৬৩ রানের ইনিংসটা নাসির হোসেনের।
শ্রীলংকার পক্ষে নুয়ান কুলাসেকারা ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন। চাপের মুখে গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রানের ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হন থিসারা পেরেরা।