হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বাংলাদেশ ১৫৫/৬, ২০ ওভার (মোসাদ্দেক ৩৪*, মাহমুদুল্লাহ ৩১, সৌম্য ২৯; মালিঙ্গা ২/৩৮); শ্রীলংকা ১৫৮/৪, ১৮.৫ ওভার (কুশল পেরেরা ৭৭, থারাঙ্গা ২৪, প্রসন্ন ২২*; মাশরাফি ২/৩২)
ফলঃ শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী।
কলোম্বোর প্রেমাদাসায় এর আগে ১১টি টি-টোয়েন্টি খেলে শ্রীলংকার জয় ছিল মাত্র ১টিতে, পরে ব্যাট করে জেতার কোনো রেকর্ড ছিল না স্বাগতিকদের। সে রেকর্ডটা গড়েই ২ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল লংকানরা, ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৬ উইকেটে।
সফরকারীদের লড়াই করার মতো পুঁজিটা পাওয়ার প্লেতেই মামুলি বানিয়ে ফেলেন শ্রীলংকার দুই ওপেনার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনকে ৩ বার সীমানাছাড়া করে ঝড়ের শুরুটা করেন অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। ৫ম ওভারে সাকিবকে ১ ছয় আর ২ চার মারার পরের ওভারে মুস্তাফিজকেও পরপর দু’ বলে চার হাঁকিয়ে হাত খোলেন কুশল পেরেরাও।
৬.৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৬৫ রান রেখে উপুল থারাঙ্গা ফেরেন মাশরাফির বলে মুস্তাফিজকে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে, ২৩ বলে ৪ চারে ২৪ করে। ১ ওভার বাদে মুনাবিরাকে স্লোয়ারে কট এন্ড বোল্ড করেন মাশরাফি। কিন্তু স্বচ্ছন্দ ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে অনায়াস জয়ের পথে টেনে নিয়ে যান কুশল পেরেরা। ১৫তম ওভারে সাকিবের বলটা বাতাসে ভাসিয়েছিলেন; পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের ফুল লেন্থ ডেলিভারি শর্ট থার্ডম্যান ফিল্ডারের হাতেই তুলে দিয়েছিলেন, রাখতে পারেন নি তাসকিন।
জীবন পেয়ে পেরেরা থামেন দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েই, ওই তাসকিনের বলে মিড-অফে সৌম্যকে ক্যাচ দিয়ে, ৫৩ বলে ৯ চার আর ১ ছয়ে ৭৭ রান করে। ১২ বলে ২২ করে বাকি কাজটা সারেন সেকুগে প্রসন্ন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তামিমের উইকেট হারিয়ে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সাব্বির-সৌম্যর ৫৬ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় কেটেছিল। কিন্তু হুট করেই ব্যাটসম্যানদের আশা-যাওয়ার মিছিলে ৮২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের সংগ্রহ দেড়শ’ পেরোয় মোসাদ্দেক-মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে। মাহমুদুল্লাহ ২৬ বলে ৩ চারে ৩১ করে ফিরে গেলেও মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ৩০ বলে ৩ চারে ৩৪ রানে।