মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচে জয়খরা কাটবে বাংলাদেশের?
যখন অধিনায়কত্ব নিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলছে দুঃসময়। ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অধিনায়ক হিসেবে ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দুই রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে যখন এই ফরম্যাটকেই বিদায় বলছেন মাশরাফি, বাংলাদেশের অবস্থাও ভাল নয় খুব একটা! ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে দ্বিতীয় দীর্ঘতম জয়খরা চলছে বাংলাদেশের।
নিজেদের খেলা ৬৬টি ম্যাচের মধ্যে হারতে হয়েছে ৪৪টিতেই। টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের ‘প্রিয়’ ফরম্যাট ছিল না কখনোই। তবে এখনকার মতো দুঃসময় এর আগে মাত্র একবারই এসেছে। না, দল নিয়ে গুঞ্জন বা অস্বস্তি নয়, পরিসংখ্যানই বলছে বাংলাদেশের দুঃসময়ের কথা! গত ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির প্রথম পর্বে ওমানকে হারানোর পর থেকে শুধু হেরেই চলেছে বাংলাদেশ।
ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় পর্বে সবগুলো ম্যাচের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ; শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে হারতে হয়েছে টানা আটটি টি-টোয়েন্টি। প্রথম ম্যাচে লড়াই করার মতো স্কোর পেলেও তা হয়নি ঠিকঠাক।
এর আগে এমন দুঃসময় এসেছিল বেশ কিছুদিন আগে। ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১০ সালের ৫ মে পর্যন্ত টানা ১২ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি আরও কম খেলা হতো তখন বাংলাদেশের, এই জয়খরাতেই কেটে গিয়েছিল দুইটা ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি! ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে জয়খরা কেটেছিল। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
সেই মুশফিকের নেতৃত্বেই টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। মাশরাফির বাংলাদেশ ড্র করেছে বাংলাদেশ সিরিজও। সে ধারা বজায় রাখতে হলেও আজ জিততে হবে বাংলাদেশকে। কাটবে তখন জয়খরাটাও। আর মাশরাফি বিন মুর্তাজাকে দেয়া হবে একটা বিদায়ী উপহার।
অধিনায়ক নিজে এসবে বিশ্বাস করেন না, এ ম্যাচটাকেও শুধু বাংলাদেশের আরেকটা ম্যাচ হিসেবেই মনে করেন। তবে তাঁর সতীর্থদের মাঝে সেই উপহারের ব্যাপারটা কি মাথায় নেই একেবারেই?