• আইপিএল
  • " />

     

    এভাবেও বাদ পড়া যায়!

    এভাবেও বাদ পড়া যায়!    

    ইনজুরি, খারাপ ফর্ম কিংবা নিষেধাজ্ঞা; দল থেকে বাদ পড়ার প্রসঙ্গ উঠলে এসব কারণ মাথায় আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও হয় বৈকি। গত পরশুর কথাই ধরুন। আইপিলের ম্যাচে গুজরাট লায়নসের সবাই যখন মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ লক্ষ্য করলেন, তাঁর কিটব্যাগটা আগের ভেন্যুতেই রয়ে গেছে! ব্যাট-প্যাড না থাকায় সেদিনের ম্যাচেও খেলা হলো না। এরকম অদ্ভুতুড়ে কারণে না খেলার ঘটনা কিন্তু নতুন নয়।
     

    ডব্লিউ জি গ্রেসের ‘কিডন্যাপিং’ কান্ডঃ

     

    বিলি মিডউইন্টার দিব্যি খেলে যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ড ও গ্লসটাশায়ারের হয়ে। ১৮৭৮ সালে হুট করেই সিদ্ধান্ত নিলেন, এবার নাগরিকত্ব বদলে অস্ট্রেলিয়ার হয়েই মাঠে নামবেন! তখনকার গ্লস্টারশায়ার ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডব্লিউ জি গ্রেস কিন্তু ব্যাপারটি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি। সেবার অ্যাশেজ সিরিজের আগে লর্ডসে মিডলসেক্সের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামার কথা ছিল বিলির। ম্যাচের আগেই গ্রেস ছুটে যান বিলির হোটেলে। সেখান থেকে একরকম ‘কিডন্যাপ’ করেই বিলিকে নিয়ে যান ওভালের মাঠে হওয়া গ্লসটাশায়ার-সারে ম্যাচ খেলার জন্য। বেচারা বিলি এই কারণে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সেই ম্যাচে নামতে পারেননি!

     

    ‘হোমওয়ার্ক’ না করায় দল থেকে বাদঃ

     

    ২০১৩ সালের ভারত সফরের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস পরাজয়ের পর অস্ট্রেলিয়া দলের সবাইকে বিশেষ এক বার্তা পাঠিয়েছিলেন কোচ মিকি আর্থার। সেখানে বলা হয়েছিল, পরের টেস্টে কীভাবে নিজেদের খেলা উন্নতি করা যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত লিখতে। তবে শেন ওয়াটসন, উসমান খাজা, জেমস প্যাটিনসন ও মিচেল জনসন মিকির ওই মেইলের উত্তর না দেওয়ার পরের টেস্টে তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল!



     

    কুকুরের তাড়া খেয়ে ‘আহত’! 

     

    শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে এমনিও আঙ্গুলে আঘাত পেয়েছিলেন। ২০০৬ সালের নভেম্বরে আসন্ন অ্যাশেজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য নিজেকে ফিট রাখতে সকাল সকাল একটু দৌড়াতে বের হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ম্যাথু হেইডেন। তখনই এক পাগলাটে কুকুর ধাওয়া করলো তাঁকে! প্রায় কয়েকশ মিটার তাড়া করার পর ক্ষান্ত দিয়েছিল কুকুরটি। কিন্তু এর মাঝেই একবার পরে গিয়ে গোড়ালিতে চিড় বাধিয়ে ফেলেছিলেন হেইডেন। ফলে আরও অনেকদিন বিছানাতেই থাকতে হয় তাঁকে, মিস করেছেন প্রস্তুতি ম্যাচটাও।

     

    মাছ ধরতে গিয়ে ম্যাচ মিসঃ

    ভোরবেলা উঠে মাছ ধরতে বসে গিয়েছিলেন পাশের পুকুরে। তখন কি আর জানতেন সেদিনই দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে? বেচারা অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস নিজের ফোনটাও বাসা ফেলে এসেছিলেন। আর যা হবার তাই হলো। দল থেকে আসা ফোনের জবাব না দেওয়ায় তাঁকে ২০০৮ সালের বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

     

    সতীর্থকে ব্যাট দিয়ে আঘাতঃ

     

    ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ড্রেসিংরুমে শহীদ আফ্রিদির সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শোয়েব আখতার। তর্কের এক পর্যায়ের রাগটা ধরে রাখতে পারেননি। আফ্রিদিকে ব্যাট দিয়ে মারতে গিয়ে আরেক সতীর্থ মোহাম্মদ আসিফের গায়ে আঘাত করে বসেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। এই ঘটনায় শোয়েবকে পরবর্তী সব ম্যাচের জন্যই বাদ দেওয়া হয়।