শোয়েইনিকে চিনতেই পারলেন না শিকাগো-ভক্ত!
মাঠের খেলায় শুরুটা দারুণই করেছেন, ৩ ম্যাচে ২ গোল। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) যোগ দেয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারে নি তাঁর দল শিকাগো ফায়ার। আমেরিকায় সময়টা তাই ভালোই যাচ্ছে বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারের- এমনটা তো বলাই যায়। কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফুটবলারকে যখন দলটির একজন ‘সমর্থক’ চিনতে পারেন না, শোয়েইনির তখন মনে হতেই পারে, ‘এ কোন দুনিয়ায় এসে পড়লাম!’ এমন বিব্রতকর ঘটনাই ঘটেছে জার্মানির গত বিশ্বকাপজয়ী দলের এ সদস্যের সাথে।
ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছেন স্বদেশি জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখে। গত দু’ বছর ছিলেন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মরিনহো যুগ শুরুর সাথে সাথেই ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত ইউরোপের পাট চুকিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। অর্থকড়ির অভাব সেখানে অনুভব করার কোনো কারণ নেই, কিন্তু স্বীকৃতির অভাবটা খুব করেই বোধ করতে পারেন শোয়েইনি। ইউরোপ তো বটেই, গোটা দুনিয়াতেই হয়তো যার সাথে ক্যামেরাবন্দী হতে পারাটা এক জীবনের ভাগ্য মনে করবে লোকে, সেই তাঁকে যখন তাঁর দলেরই একজন সমর্থক চিনতে না পেরে ক্যামেরার পিছনে দাঁড় করিয়ে দেয়- অনুভূতিটা কেমন হতে পারে তাঁর?
অনুশীলন শেষে দলের অন্য সদস্যদের সাথে ফিরছিলেন শোয়েইনি। এমন সময় শিকাগো ফায়ারের এক নারী ভক্ত দৌড়ে এসে দলটির চার ফুটবলারের সাথে ছবি তুলতে চান। তাঁরাও খুশী মনে ভদ্রমহিলার সাথে ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে যান। কিন্তু ছবিটা তুলবে কে? সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যেতে থাকা শোয়েনস্টাইগারকে ডেকে ওই নারী অনুরোধ করেন ছবিটা তুলে দিতে। শোয়েইনিও হাসিমুখে ছবি তুলে দেন। ছবি তোলার এই দৃশ্যটা আবার ক্যামেরাবন্দী করেন শিকাগো ফায়ারের সহকারী ম্যানেজার এরিক গেহরিগ। নিজের টুইটারে সেটি পোস্ট করে তিনি লিখেন, “এই মহিলা শোয়েনস্টাইগারকে ডেকে শিকাগো ফায়ারের খেলোয়াড়দের সাথে একটা ছবি তুলে দিতে বলে...বেচারি যদি জানতো! (হাসি)”
ম্যানচেস্টার থেকে যেদিন শিকাগোতে উড়ে এসেছিলেন, বিমানবন্দরে ভক্তরা বেশ উষ্ণ অভ্যর্থনাই দিয়েছিলেন শোয়েনস্টাইগারকে। কিন্তু সে উষ্ণতা যে ইউরোপের মতো সর্বত্র পাওয়া যাবে না সেটা বোধকরি বুঝে গেছেন ১২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জার্মানির সাবেক এই অধিনায়ক।