ইউনুস-মিসবাহর শেষেই পাকিস্তানের 'ইতিহাস'?
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ৩৭৬ ও ১৭৪/৮ ডিক্লে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪৭ ও ৭/১
যেন হুট করেই বড় শট খেলাটা ছিল তাঁর অভ্যাস। দেবেন্দ্র বিশুকে স্লগ সুইপ করতে গেলেন হয়তো সেই অভ্যাসবশতই। মিসবাহ-উল-হকের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল ওই শটেই, উইকেটকিপার শেন ডওরিচ ছুটে এসে ধরলেন ক্যাচ। এর আগে করলেন ১৪ বলে ২ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা ছুটে এলেন অভিনন্দন জানাতে, সতীর্থরা ড্রেসিংরুমের পথে ব্যাট উঁচিয়ে দিলে ‘গার্ড অব অনার’। গ্যালারিতে তখন মিসবাহর গর্বিত পরিবার।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের অভিনন্দন, পাকিস্তানীদের ‘গার্ড অব অনার’, গ্যালারির গর্বিত পরিবার-এ অংশটুকুর পুনরাবৃত্তি হলো খানিক বাদেই। এবার শেষবারের মতো উঠে গেলেন ইউনুস খান। তাঁর প্রিয় সুইপ শট খেলতে গেলেন ওই বিশুর বলেই। শর্ট ফাইন লেগে এক হাতে দারুণ এক ক্যাচ নিলেন কাইরন পাওয়েল। নিজের শেষ ইনিংসে ইউনুস করলেন ৭৩ বলে ৩৫ রান।
পাকিস্তান ক্রিকেটে একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো। সমাপ্তি ঘটলো আসলে একটা যুগের, যে যুগের বর্তিকা বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন মিসবাহ ও ইউনুস। এই সমাপ্তির মাঝেই একটা নতুন অধ্যায় শুরুর সম্ভাবনা আছে আবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিততে পাকিস্তানের সম্বল ৩০৩ রান।
অথচ ডমিনিকায় ৯০ রানেই ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের! দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোরকে ১৭৪ রান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার মূল কৃতিত্ব ইয়াসির-আমিরের ৬১ রানের জুটির। ইয়াসির করেছেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩৮, আমিরের রান ২৭। অষ্টম উইকেটে তাঁদের জুটির পর হাসান আলী খেলেছেন ৬ বলে ১৫ রানের ক্যামিও। নিজের শেষ টেস্টে এরপর ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছেন মিসবাহ।
দিনের শেষভাগে পাকিস্তানকে 'ঐতিহাসিক' পঞ্চম দিনের আভাস দিয়েছেন ইয়াসির শাহ। কাইরন পাওয়েলকে শান মাসুদের অসাধারণ এক ক্যাচে আউট করেছেন তিনিই। শেষদিনে পাকিস্তানের তাই প্রয়োজন ৯ উইকেট।
আর সিরিজ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গড়তে হবে ইতিহাস। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে ২৯৪ রান করেছিল উইন্ডিজ, সর্বোচ্চ সেটাই। সেই ম্যাচও অবশ্য ৭৫ রানে হারতে হয়েছিল তাঁদের।