• কনফেডারেশনস কাপ ২০১৭
  • " />

     

    'ভিডিও রেফারিংয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন'

    'ভিডিও রেফারিংয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন'    

    ভিডিও অ্যাসিস্ট্যাণ্ট রেফারিং নিয়ে অনেক দিন ধরেই চলছে আলোচনা। কনফেডারেশনস কাপের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্ট এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে প্রথমবার। কিন্তু এর মধ্যেই সেটির ব্যবহার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।  গতকাল চিলি-ক্যামেরুন ম্যাচে দুটি গোলের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারি। চিলি কোচ হুয়ান আন্তোনিও পিজ্জি বলছেন, এই পদ্ধতির সাথে মানিয়ে নিতে আরও সময় লাগবে।

    ‘ভিডিও রিভিউ পদ্ধতির’ কারণে প্রথমার্ধে গোল বাতিল হয়েছিল চিলির। দ্বিতীয় গোলটা অবশ্য বাতিল হওয়ার পর এই রিভিউয়ের কারণেই এসেছে। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভিদালরা। দলের কোচ পিজ্জি মনে করেন, এই পদ্ধতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সবার সময় লাগবে, “আমার মনে হয় এই পদ্ধতির আরও কিছু সময় দরকার। আমি যতদূর জানি এটা এবারের টুর্নামেন্টে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে। আমরা অন্য নিয়মে অভ্যস্ত, তাই এটার সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে। আজকের কথাই ধরুন। প্রথমার্ধে আমরা ১-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতাম, এটা আমাদের হতাশ করেছিল। ওটা সঠিক ছিল, কিন্তু তবুও আমরা এসবে অভ্যস্ত নই। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।”

    ভিডিও রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত ফুটবলারদের খেলার ওপর প্রভাব ফেলে বলেও জানালেন পিজ্জি, “প্রথম রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের খেলায় প্রভাব ফেলেছে। বাতিল হওয়া গোলটা এই টুর্নামেন্টে না হলে সেটা গোলই ধরা হতো। যদিও সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল, তবুও এটা ফুটবলারদের ওপর প্রভাব ফেলে।”

    এদিকে প্রথম গোলটি বাতিল হওয়ার পর রেফারি দামির স্কমিনার সাথে খানিকটা তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন চিলির ভিদাল। তিনিও পিজ্জির সাথে একমত, “এই প্রথম আমাদের দল এরকম পদ্ধতির অধীনে খেলছে। ম্যাচের সময় এটা আমাদের সবার মাথায় ছিল। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত দেয় ও অনেক উপকারী বটে, কিন্তু এর সাথে মানিয়ে নেওয়া খুব সহজ নয়।”