চলেই গেল লওরি...
নিউক্যাসেলের ‘চিরপ্রতিদ্বন্দী’ সান্ডারল্যান্ড। সান্ডারল্যান্ডের সবকিছুই যেন ‘বাঁকা’ দৃষ্টিতে দেখে নিউক্যাসেল। শুধু একটা বিষয় ছাড়া। ব্র্যাডলি লওরি। ছয় বছরের সান্ডারল্যান্ড ভক্ত যে ভুলিয়ে দিয়েছিল সব বৈরীতা। 'ছিল' বলতে হচ্ছে। ছোট্ট লওরি যে অবশেষে হার মেনেছে ক্যান্সারের কাছে! পৃথিবী থেকে কিছুক্ষণ আগে বিদায় নিয়েছে লওরি।
১৮ মাস বয়সেই নিউরোব্লাসটোমা ধরা পড়েছিল লওরির। ক্যান্সার একবার হার মেনেছিল লওরির কাছে, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ফিরে এসেছিল আবার। অর্থ জোগাড় করা হলো, যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে যাওয়া হলো। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না সান্ডারল্যান্ড মাসকটের। লওরির মা জেমা ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছেন, ইংল্যান্ড সময় ১টা ৩৫ (বাংলাদেশ সময় ৭টা ৩৫ মিনিট) মিনিটে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরেই গেছে লওরি।
ক্যান্সারের সঙ্গে লওরির লড়াইয়ে পাশে ছিল ফুটবলও। প্রিয় ফুটবলার জারমেইন ডিফোর হাত ধরে সান্ডারল্যান্ডের মাঠে নামার ঘটনা ছিল নিয়মিতই। সম্প্রতি এএফসি বোর্নমাউথে যাওয়া ডিফো কদিন আগেই সংবাদ সম্মেলনে ভেঙে পড়েছিলেন লওরির কথা বলতে গিয়ে। তিনি বলেছিলেন, সান্ডারল্যান্ডের খেলার সময়ের সবচেয়ে প্রিয় মুহুর্তগুলোর একটি ছিল লওরির হাত ধরে মাঠে নামা।
তার চিকিৎসার জন্য সংগৃহিত অর্থের যেসব বাকি আছে, সেসব এখন যাবে ব্র্যাড লওরি ফাউন্ডেশনে। অন্য কোনো লওরি, যে লড়াই করছে এভাবে, তার সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে তা।
হয়তো লওরির কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পাবে সেরকম কেউ। শেষ নিঃশ্বাসটা বেড়িয়ে গেলেও, আপাতদৃষ্টিতে হেরে গেলেও, লওরিরা হারে না। সেই ছোট্ট মুখের নিস্পাপ হাসিটাও তাই মনে থাকবে অনেকেরই।
ডিফোর থাকবে। সান্ডারল্যান্ড ভক্তদের থাকবে। নিউক্যাসেল ভক্তদেরও থাকবে।
থাকবে দুনিয়াজোড়া লওরির নাম শোনা অনেকেরই!
আরও পড়ুনঃ