ব্রড-মইনে ইংল্যান্ডেরই দিন
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ৪৫৮ অল-আউট
দক্ষিণ আফ্রিকা ২১৪/৫, ৬৮ ওভার
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ২৪৪ রানে পিছিয়ে
ইতিহাসের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অধিনায়কত্বের অভিষেকেই ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটা করা হয়নি জো রুটের। মরনি মরকেলের বলে আউটসাইডেজে আউট হয়েছেন ১৯০ রান করেই। ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরিটা পাননি মইন আলি, রাবাদার বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছিলেন ৮৭। রুটের উইকেটের ওভারে শুন্য রানে ফিরেছিলেন লিয়াম ডওসন, মইনের উইকেটের ওভারে শুন্য রানে ফিরেছিলেন মার্ক উড। দুজনই হয়েছিলেন এলবিডাব্লিউ। এসব অপ্রাপ্তির ভীড়েও লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা ইংল্যান্ডের। ব্যাটিংয়ে চার বছর পর ফিফটিপ্রাপ্তি হওয়া ব্রড বোলিংয়েও ভুগিয়েছেন আফ্রিকানদের, সঙ্গী ওই মইন ও জিমি অ্যান্ডারসন।
শেষ উইকেটে ব্রড-অ্যান্ডারসনের ২৭ বলে ৪৭ রানের জুটি আফ্রিকানদের শুধু হতাশই করেছে। ব্রডের অবদানই বেশি এখানে, ৪৭ বলে ৫৭ রান করেছেন ৮ চারে। সঙ্গে মরকেলকে একই ওভারে হুক করে মারা দুইটি ছয়। তবে ৪ রানে দাঁড়িয়েই আউট হতে পারতেন ব্রড, ফিল্যান্ডারের বলে রিভিউয়ের সুযোগটা হাতছাড়া করেছিল আফ্রিকা।
ইংল্যান্ড তাই সহসাই গুটিয়ে যায়নি, ৪৫৮ রানের সংগ্রহটা ক্রমেই শুকিয়ে যেতে থাকা লর্ডসের উইকেটে মোটামুটি দারুণই। ইংল্যান্ড ইনিংসেই আভাস মিলেছিল, বল নীচু হবে, সঠিক লেংথে আঘাত করতে পারলে মিলবে মুভমেন্টও। হলোও তাই। ব্রডের মুভমেন্টে কাবু হেইনো কুন, ১০ রান জমা হতেই প্রথম আঘাত আফ্রিকানদের জন্য। সাবেক অধিনায়ক আমলা আর এক ম্যাচের অধিনায়ক এলগার সামাল দিতে চাইলেন সে আঘাত। উলটো আঘাত করলেন মইন। দুই স্পিনার নিয়ে নামা ইংল্যান্ড সুফল পেলো মইনের স্পিনিং ডেলিভারির। আমলা পাথর হয়ে রইলেন, হলেন এলবিডাব্লিউ। দুই ‘দাড়িওয়ালার’ লড়াইয়ে জিতে গেলেন মইন।
এলগারের প্রতিরোধও ভেঙ্গে গেল মইনের স্পিনেই। ব্যাট-প্যাডে শর্ট লেগে ক্যাচ দিলেন এলগার। হয়ে গেলেন মইনের ১০০তম শিকার। এদিনই ২০০০ রান পূর্ণ করেছিলেন, তিনি তাই হয়ে গেলেন টেস্ট ইতিহাসের ২৮তম অলরাউন্ডার, যার দুই হাজার রানের সঙ্গে ১০০ উইকেটও আছে।
ব্যাটিংয়ে ভাল দিন পার করা ব্রড পেলেন ভাল বোলিংয়ের আরেকটি পুরষ্কার। জেপি ডুমিনি কাবু হলেন, সিমে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে হলেন এলবিডাব্লিউ। ডি ব্রুইন ও টেনডা বাভুমার প্রতিরোধ এরপরই। তাদের ৯৯ রানের জুটিটা ভাঙলো শেষবেলায়। অ্যান্ডারসনকে শরীর থেকে দূরে থেকেই ঠেলে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন বেয়ারস্টোকে। প্রথম ফিফটি থেকে ২ রান দূরে থামলেন। সঙ্গী বাভুমাও অপরাজিত রইলেন ওই ৪৮ রানেই। নাইটওয়াচম্যান রাবাদাকে নিয়ে শেষবেলার সময়টা কাটিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু অবেলায় হারানো উইকেটের ক্ষতিটা পুষিয়ে যায়নি তাতে। এলোমেলো আফ্রিকাকে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে তার মতো কাউকেই খেলতে হবে বড় কোনো ইনিংস। লর্ডসের তৃতীয় দিনে আফ্রিকার কে হবেন রুট, মইন, স্টোকস বা ব্রড?