• ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ
  • " />

     

    মরকেল-আমলা দেশের হয়েই খেলবেন?

    মরকেল-আমলা দেশের হয়েই খেলবেন?    

    ‘কলপ্যাক চুক্তির’ কারণে বছরের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছে কাইল অ্যাবট ও রাইলি রুশোকে। পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারও কাউন্টি ক্রিকেটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘বিদায়’ বলেছেন। কিছুদিন আগে থেকেই গুজব উঠেছে, হাশিম আমলা ও মরনে মরকেলও নাকি আগামী মৌসুমে ‘কলপ্যাক চুক্তির’ কারণে জাতীয় দল ছাড়বেন। তবে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশের হয়েই খেলে যাবে দুজন।

     

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর না নিলে কাউন্টি ক্রিকেটে ‘বিদেশি ক্রিকেটার’ হিসাবেই খেলতে হচ্ছে সবাইকে। বিদেশিদের জন্য নির্দিষ্ট কোটা থাকায় সুযোগও মিলছে কম। একারণেই অনেকে জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়েছে বেছে নিচ্ছেন কাউন্টিকে। ৩৪ বছর বয়সী আমলা ও ৩২ বছর বয়সী মরকেলও সামনের মৌসুমে এরকম কিছু একটা করতে পারেন বলেই ধারণা করেছিলেন অনেকে।

     

    তবে মরকেলের এজেন্ট ওয়েবার ভ্যান রিক বলছেন, মরকেলের সব মনোযোগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দিকেই, “এই মুহূর্তে মরকেল দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা ছাড়া আর কিছুই ভাবছে না। কলপ্যাক চুক্তি নিয়ে তাই দুশ্চিন্তার কিছু নেই।”

     

     

     

    মরকেলও বলছেন, প্রোটিয়াদের হয়েই খেলে যেতে চান আরও অনেকদিন, “আমি দেশের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখন দলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এরকম অবস্থায় সিনিয়র ক্রিকেটারদের একতাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সবাইকে একসাথেই চেষ্টা করতে হবে।”

    রুশোদের ওই বিদায়ের পর দলের অধিনায়ক ডু প্লেসি বলেছিলেন, কলপ্যাক চুক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভয়ানক কিছুই বয়ে আনতে পারে, "যা হয়েছে সেটা থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যদি ১০-১৫ জন ক্রিকেটারকে হারিয়ে ফেলি, ব্যাপারতা সুখকর হবে না।"