আট বছর নিষিদ্ধ সতসোবে
একটা সময় র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে উঠেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং লাইনআপে লনওয়াবো সতসোবে হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম ভরসার নাম। কিন্তু ধীরে ধীরে দলে জায়গা হারান। এরপর ২০১৫ সালের ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ক্যারিয়ার থমকে যায়। এবার সেই মৌসুমে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে আট বছর নিষেধাজ্ঞা পেলেন সতসোবে।
২০১৫ সালের ‘রামস্লাম ক্রিকেট লিগ’ চলার সময় অভিযোগ আসে, সতসোবেসহ আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ম্যাচ পাতানোর সাথে জড়িত আছেন। ওই বছরের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এই বছরের এপ্রিলে সাময়িকভাবে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন সতসোবে। তদন্ত শেষে সাতজন ক্রিকেটারকে ২ থেকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের অ্যান্টি করাপশন বিভাগের বিচারক বার্নাড জোয়েপ বলছেন, দোষীদের সাজা হওয়ায় তাঁরা খুশি, “তদন্ত কমিটি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দোষী ক্রিকেটারদের সাজা হয়েছে, এটা সবার জন্যই মঙ্গল। সতসবের রায়ের পরেই এই কেসের সব কাজ শেষ হচ্ছে।”
প্রথমে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ আনলেও শেষ পর্যন্ত স্পট ফিক্সিংয়ের ব্যাপারটাই প্রমাণিত হয়েছে বলেই জানান দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত, “সতসোবের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানো নয়, স্পট ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই ফিক্সিংটা হতে পারেনি, তাও এটায় অংশ নেওয়ার জন্যই তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
এদিকে নিজের এরকম কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সতসোবে, “আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। আসলে ওই সময়ে আমি খুব অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মাঝে ছিলাম। ওরকম অবস্থায় কী করছি সেটা বুঝতে পারিনি। এখন আমি ওই কাজের জন্য লজ্জিত। আশা করি ভক্ত ও বোর্ড আমাকে ক্ষমা করবেন।”