মঈনের হ্যাটট্রিকে যত রেকর্ড
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সেই চিরচেনা হাসিমাখা মুখে বললেন, “আসলে ফুটবলে তো বেশ কয়েকটা হ্যাটট্রিক করেছি, কিন্তু ক্রিকেটে এই হ্যাটট্রিক করা একটু অন্যরকম অনুভূতি।” হ্যাঁ, একটু তো অন্যরকম তো বটেই! ওভালের শততম টেস্টে মঈন আলীর হ্যাটট্রিক শুধু ‘অন্যরকম’ না, ক্রিকেট ইতিহাসের অনন্য এক রেকর্ডের ছোট্ট একটা তালিকার অংশও। হ্যাটট্রিক দিয়ে টেস্ট শেষ হওয়ার ঘটনা যে মাত্র চারবারই দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব!
আগের ওভারের শেষ দুই বলে ফিরিয়েছেন এলগার ও রাবাদাকে। পুরো ওভালে তখন পিনপতন নিরবতা। মরকেলের পায়ে বল লাগার সাথে সাথেই আবেদন করল পুরো ইংল্যান্ড, সাথে দর্শকও! আম্পায়ার জোয়েল উইলসন আউট না দিলে রিভিউ নেন মঈন, সফলও হয়। উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো ওভাল। এই ভেন্যুর শততম টেস্টটা শেষ হয় মঈনের হ্যাটট্রিকেই।
শেষবার টেস্ট ম্যাচের এরকম সমাপ্তি দেখা গেছে প্রায় ৬০ বছর আগে। ১৯৫৮ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের শেষ তিন উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার লিন্ডসে ক্লিন। ১৯০২ সালে এমসিজিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটাও শেষ হয়েছিল অজি স্পিনার হিউ ট্রাম্বলের হ্যাটট্রিকেই।
হ্যাটট্রিক দিয়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রথম ঘটনা অবশ্য ১২১ বছর পুরনো। ১৮৯৬ সালে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেই দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের মিডিয়াম ফাস্ট বোলার জর্জ লোম্যান।
টম গডার্ড
এদিকে মঈনের এই হ্যাটট্রিক অবসান ঘটিয়েছে দুটি আক্ষেপেরও। সেই ১৮৮০ সাল থেকে টেস্ট আয়োজন করছে ওভাল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলেও এই মাঠে ছিল না কোনো টেস্ট হ্যাটট্রিক। ১৩৭ বছর পর মঈনের কীর্তিতে শততম টেস্টেই খুলল সেই গেরো। এদিকে ৬০ বছর পর প্রথম ইংলিশ স্পিনার হিসাবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন মঈন। শেষবার ১৯৩৮ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই জোহানেসবার্গে ইংলিশ স্পিনার টম গডার্ড পেয়ছিলেন হ্যাটট্রিকের দেখা।
(ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবলম্বনে)