অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকেও সন্তুষ্ট করতে চায় পাকিস্তান
সব জল্পনা কল্পনা শেষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে এসেছে ডু প্লেসির নেতৃত্বাধীন বিশ্ব একাদশ। নজিরবিহীন নিরাপত্তা বেষ্টনীতে এরই মাঝে হয়ে গেছে প্রথম দুই ম্যাচ। লাহোরে উপস্থিত আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন তারা।
২০০৯ সালের সেই হামলার পর থেকেই পাকিস্তানে নির্বাসিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পিসিবির দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর আমলা, তামিমরা বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলতে গেছেন। রিচার্ডসন বলছেন, টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে পাকিস্তান সফরে রাজি করানোই তাদের লক্ষ্য হবে, “পাকিস্তানে নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে আর্থিক সহায়তা দেবে আইসিসি। তিন বছরের দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে পিএসএলের ম্যাচ পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা। এরপর আমাদের লক্ষ্য টেস্ট খেলুড়ে দেশকে পাকিস্তান সফরে আসতে রাজি করানো। বিশ্ব একাদশের সফরেই সন্তুষ্ট থাকার কোনো সুযোগ নেই।”
বড় দলগুলোকে পাকিস্তানে আনতে যে ভালোই বেগ পেতে হবে, সেই ব্যাপারটা স্বীকার করলেন রিচার্ডসন, “এটা দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়া। ধাপে ধাপে এগোতে হবে। তিনটা টি-টোয়েন্টির চেয়ে একটা টেস্ট সিরিজ অনেক লম্বা। পাকিস্তানের পরবর্তী লক্ষ্য হওয়া উচিত লাহোরসহ অন্য শহরের নিরাপত্তার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোকে সন্তুষ্ট করা। নিরাপদ বোধ করলে ধীরে ধীরে সবাই আসবে এখানে।”
অক্টোবরের ২৯ তারিখে এই লাহোরেই টি- টোয়েন্টি খেলতে আসবে শ্রীলংকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও খেলার কথা রয়েছে নভেম্বরে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি মনে করেন, অবিশ্বাসের বরফ ধীরে ধীরে গলতে শুরু করেছে , “বিশ্ব একাদশের সফর বরফ গলার লক্ষণ। আশা করি সামনের বছর এই সময়ে পূর্ণ সিরিজ খেলতে আসবে একটা দল হলেও। আর আইসিসিও আমাদের পাশে থাকবে বলেই জানিয়েছে। আগামী দুই বছর যেন বিশ্ব একাদশ পাকিস্তানের সিরিজ খেলতে আসে, সেই ব্যাপারেও আমরা কাজ করছি।”