'বাউন্সার-ভীতি কাটাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের'
ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই জেগেছিল। ব্লুমফন্টেইনে তৃতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংস ও ২৫৪ রানের বিশাল জয়ের পর প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বলছেন, বাউন্সারের ‘ভীতি’ কাটাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
কাগিসো রাবাদা, ডুয়াইন অলিভিয়ারের বাউন্সে নাকাল ছিলেন মুমিনুল-মুশফিকরা। মুমিনুলকে শর্ট বলেই ফিরিয়েছেন রাবাদা। অলিভিয়ারের বাউন্সার সামলাতে না পেরে মাথায় আঘাত পেয়েছেন মুশফিক। ডু প্লেসি বলছেন, বাউন্সারে একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা, “বাউন্স সামলানো কঠিন কাজ। তবে এরকম বলের মুখোমুখি হতে হলে আপনাকে মনের ভয় দূর করতে হবে। বাউন্সারকে সামলানোর উপায় বুঝে গেলেই এটা খেলা অনেক সহজ হয়ে যায়।”
ডু প্লেসি মনে করেন, দলে ‘লম্বা’ বোলার না থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের বাউন্সার দিয়ে বিপদে ফেলতে পারেনি মুশফিকের দল, “বাংলাদেশের লম্বা বোলার নেই। এই কন্ডিশনে লম্বা বোলারের দরকার যারা বেশি বাউন্স দিতে পারে। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে এরক বোলার না থাকলে ভালো করা কঠিন। এই সিরিজে বাংলাদেশের ঘাটতি এখানেই ছিল।”
দুই ইনিংসের ৪৩ ওভারের কম সময়ে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। মুশফিকদের এমন পারফরম্যান্স খানিকটা অবাক করেছে ডু প্লেসিকে, “গত দুই বছরে তারা অনেক ভালো পারফর্ম করেছে টেস্টে। আমি আরও বেশি লড়াই আশা করেছিলাম। তারা সিরিজ জিতে ফেলবে এটা আশা করিনি, কিন্তু বেশ কিছু সেশনে আমাদের চাপে পড়তে হবে এটাই ভেবেছি। তাদের দলে অনেক প্রতিভা আছে। তবে আমরা তাদের চেয়ে অনেক ভালো খেলেই সিরিজ জিতেছি। তারা আমাদের চাপে ফেলার আগেই আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছি।”