• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    মাথায় আঘাতের পর হাসপাতালে মুশফিক

    মাথায় আঘাতের পর হাসপাতালে মুশফিক    

    একের পর এক বাউন্সারে অলিভিয়ের-রাবাদা শুরু থেকেই সন্ত্রস্ত করে রেখেছিলেন। তবে ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে যা হলো, সেটার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। অলিভিয়েরের বাউন্সারটা একটু বেশিই দ্রুত গতিরই ছিল, মাথা নিচু করতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে এড়াতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। বল লাগল হেলমেটের ডান অংশে। প্রথমে একটু দাঁড়িয়ে থাকার পর একটু পরেই হাঁটু গেড়ে টলে পড়লেন মাটিতে। এরপর উঠে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করলেও পরে আউট হয়ে গেছেন। তবে তার চেয়েও বড় আশঙ্কা, মুশফিককে পরবর্তী পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। পরে বাংলাদেশের ম্যানেজার ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানিয়েছেন, সুস্থই আছেন মুশফিক। বড় কোনো সমস্যা হয়নি। 

     

     

    মুশফিকের ওই আঘাতের পরেই মাঠে সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসিওক মোহাম্মদ মুসাজিও। মুসাজি এমনিতে দলের ম্যানেজার, তবে একজন চিকিৎসকও বটে। বাংলাদেশ দলে ফিজিও থাকলেও কোনো চিকিৎসক নেই। ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, মুসাজি উপদেশ দিয়েছিলেন মুশফিককে আর না খেলার জন্য। কিন্তু খানিকটা ধাতস্থ হওয়ার পর মুশফিক ব্যাট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। অবশ্য শুধু হেলমেটটাই বদলালেন।

    ওই সময় মুশফিকের রান ছিল ১১। অলিভিয়ের এর পরের বলটাই করেছিলেন বাউন্সার, তার পর আরও নয়টি বাউন্সার করেছিলেন মুশফিককে। তবে আর কোনো বল হেলমেটে লাগেনি। তবে ২৬ রান করে মুশফিক শেষ পর্যন্ত বলের লাইন বুঝতে না পেরে এলব্লিডব্লু হয়ে গেছেন পারনেলের বলে। তবে মাথায় আঘাতের জন্য সেটির কোনো প্রভাব পড়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আউট হওয়ার পর মুশফিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

    এই বছরের শুরুতে ওয়েলিংটনেও টিম সাউদির বল মাথায় লাগার পর লুটিয়ে পড়েছিলেন মুশফিক। তখন আর ব্যাট করেননি, হাসপাতালে গিয়েছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই। তবে বড় কিছু হয়নি এবারও বাংলাদেশ চাইবে, তেমন কিছু না হোক।