• বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, ২০২৪
  • " />

     

    গ্রিভসের সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে উইন্ডিজ

    গ্রিভসের সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে উইন্ডিজ    

    ১ম টেস্ট, অ্যান্টিগা (টস - বাংলাদেশ/বোলিং)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ - ৪৫০/৯ ডি., ১ম ইনিংস (গ্রিভস ১১৫*, লুই ৯৭, অ্যাথানেজ ৯০, হাসান ৩/৮৭, তাসকিন ২/৭৬, মিরাজ ২/৯৯)
    বাংলাদেশ - ৪০/২, ১ম ইনিংস (জাকির ১৫, দীপু ১০*, আলজারি ১/২, সিলস ১/১৫)
    বাংলাদেশ ৪১০ রানে পিছিয়ে
    ২য় দিন, স্টাম্পস 


     

    দিনের শুরুটা যত ভালো হয়েছিল, শেষটা হল ততটাই খারাপ। বাংলাদেশের কপাল পুড়ল জাস্টিন গ্রিভসের সেঞ্চুরিতে। দ্বিতীয় দিন শেষে আসনে তাই জেঁকে বসেছেন স্বাগতিকরা।

    অথচ সকালটা শুরু হয়েছিল হাসান মাহমুদের তোপে। দিনের প্রথম ওভারেই জশুয়া ডা সিলভাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন। নিজের পরের ওভারেই গালিতে জাকির হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে আলজারিকেও ফেরালেন হাসান। এরপরের গল্পটুকু শুধুই আক্ষেপের।

    ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা তিন সেঞ্চুরি করেই এই টেস্টে নেমেছিলেন গ্রিভস। তাকে সামলাতে বাংলাদেশকে নতুন ফন্দি আঁটতে হত। সেখানেই ব্যর্থ বাংলাদেশ। ধৈর্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রিভস দিলেন ঠিকই, তবে দিলেন টেইল এন্ডার রোচকে নিয়ে। নর্থ সাউন্ডে তার ইনিংসের মাহাত্ম্যটা সেখানেই। রোচকে অবশ্য ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। ১৪৪ বলের ম্যারাথন এক ইনিংস রোচ খেললেন, সেই সাথে পেলেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের দেখা। সেই রোচকেও থামিয়েছেন হাসান, ১৪০ রানের জুটি ভেঙে। স্টাম্প উপড়ে রোচকে সাজঘরে পাঠালেও বাংলাদেশ বড্ড দেরি করে ফেলেছে ততক্ষণে। অবশ্য রেকর্ড একটা করেছেন হাসান; শাহাদাত হোসেনের রেকর্ড ভেঙে এক পঞ্জিকাবর্ষে পেসার হিসেবে বাংলাদশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন তিনি (২৭*)।

    এর পরের ওভারেই যে তাইজুলের বলে বাউন্ডারি বের করে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যান গ্রিভস। এর আগে তার দুই সতীর্থ নার্ভাস নাইন্টিজে কাটা পড়েছেন। তার বিপক্ষেও ৯২ রানে থাকার সময় এলবিডব্লিউর জন্য রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে অবিচল গ্রিভস প্রমাণ করলেন কেন তাকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত উইন্ডিজ ক্রিকেট। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত থাকলেন মাঠে; ইনিংস ঘোষণার সময় মাঠ ছাড়লেন ২০৬ বলে ১১৫* রানের লড়াই শেষে।

    গ্রিভস দেখিয়েছিলেন যে উইকেটে জুজু নেই, পড়ে থাকলে রান তোলা যাবে। বাংলাদেশের ওপেনাররা সেটাই করতে পারলেন না। শুরুটা রয়েসয়ে করেও উইন্ডিজ পেস অ্যাটাকের কাছে কাবু দুই ওপেনার। গালিতে লুই ক্যাচ ফেলায় জীবন পেয়েছিলেন জয়। পরের ওভারেই সিলস উপড়ে ফেললেন জাকিরের স্টাম্প। সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে জয়ও ফিরলেন পরের ওভারেই; আলজারির বলে খোঁচা মেরে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। পড়ন্ত বিকেলের দুই উইকেটে উইন্ডিজ তাই এখন চালকের আসনে।