• " />

     

    শুভ জন্মদিন, ব্রায়ান চার্লস লারা

    শুভ জন্মদিন, ব্রায়ান চার্লস লারা    

    ব্যাটটা একটু তুলে ধরতেন পিছনে,হাঁটুজোড়া বাঁকাতেন, এরপর ব্যাটটা যেন গিলোটিনের মত নেমে আসত বলের উপর! ফলাফল অনুমেয়। কোন ব্যাটসম্যান সম্পর্কে বলা হচ্ছে তা অনুমান করতেও কষ্ট হয় কি!

     

     

    ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্টিগাতে স্যার গ্যারি সোবার্সের ৩৬৫ রানের রেকর্ডটা ভেঙ্গে করেছিলেন ৩৭৫, ম্যাথু হেইডেন তা ভেঙ্গেছিলেন ২০০৩ সালে। এক বছর সেই রেকর্ডটা হাতছাড়া ছিল তার, ২০০৪ সালে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে, একই ভেন্যুতে সেই রেকর্ডকে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য রকম এক উচ্চতায়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছিলেন ‘কোয়াড্রাপল’ সেঞ্চুরী! ১৯৯৪-এই ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ডারহামের বিপক্ষে এজবাস্টনে করেছিলেন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের প্রথম ‘কুইনটাপল’ সেঞ্চুরী,সেবারও অপরাজিত ছিলেন ৫০১ রান করে।

     

     

    ‘সিঙ্গেল হ্যান্ডেডলি’ ম্যাচ জেতানো বা বাঁচানো ইনিংসের ট্যালিটা তার খুব সংক্ষিপ্ত নয়, নিজ যুগে তো তিনিই ছিলেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সমার্থক! তবে আলাদা করে বলতে হয় ১৯৯৮-৯৯ এর ব্রিজটাউন টেস্টের কথা। ৩০৮ রানের লক্ষ্য, ব্রায়ান লারা একাই করেছিলেন ১৫৩! আর কোনো ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান সেদিন ফিফটিই করতে পারেননি!

     

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্নালী দিন ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন, পারেননি, বোর্ড আর ভাগ্যের সাথে দ্বন্দ্বটাই বাড়িয়েছিলেন শুধু! অধিনায়ক ‘তিনি’ যেন ছিলেন ব্যর্থতারই আরেক রুপ, ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাটা জিতেছিলেন অবশ্য।

     

    ক্রিকেট-বিধাতার এই প্রশ্নগুলোরই উত্তর মেলে না, দুহাত ভরিয়ে দিয়েও যেন কতো কিছু দিলেন না! তবে দুনিয়ার সেরা বোলাররাও তাঁর বিরুদ্ধে বল করতে গিয়ে হন্যে হয়ে খুঁজতেন কত প্রশ্নের উত্তর, নিজ দিনে তিনি যে শুধুই নিজেকে চিনতেন, নিজের মত করে শাসন করতেন বলকে আর বোলারকে!

     

    ১৯৬৯ সালের এই দিনে অ্যান্টিগার মিচেল স্ট্রিট ক্যান্টারোতে জন্মেছিলেন ক্রিকেটের এই বরপুত্র।


    সব কিছু মিলিয়ে আপনিই তো ক্রিকেটের প্রিন্স, আমাদের মত আরও অনেকের শৈশব-কৈশোরের ঘোর লাগা আর মুগ্ধতা মাখানো স্মৃতিতে মিশে আছেন আপনি।

    শুভ জন্মদিন, ব্রায়ান চার্লস লারা!