'টি-টোয়েন্টি হিসেবে খেলার গতি খুব খুব মন্থর'
প্রথম ম্যাচ শুরু দুপুর দুইটায়। সাড়ে পাঁচটার আগেই তা শেষ হয়ে যায়। পরের ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা সাতটায়। কিন্তু সেই ম্যাচ চার ঘন্টা পর শেষ হচ্ছে এগারটায়। শিশির এই দেরির অন্যতম কারণ তো বটেই, তারপরও রাজশাহী কিংসের অলরাউন্ডার জেমস ফ্রাঙ্কলিন মনে করছেন, বিপিএলে খেলা শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত।
শিশিরের কারণে বার বার বল পরিবর্তন করতে হচ্ছে, মুছতে হচ্ছে ঘনঘন- এমন দৃশ্য রাতের ম্যাচে নিয়মিত। খেলা শেষ করতে স্বাভাবিকভাবেই বেশি সময় লাগছে। সেজন্য ঢাকা পর্ব থেকে খেলা শুরুর সময় এক ঘন্টা এগিয়েও নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু ফ্রাঙ্কলিন মনে করছেন সবকিছু মাথায় রেখেই ম্যাচের গতি খুবই মন্থর, ‘দেখুন, আমি আপনাদের সত্যি কথাটা বলব। আমি অনেক দিন ধরেই টি টোয়েন্টি খেলছি। আসলে ম্যাচ শেষ করার একটা সময় বেঁধে দেওয়া উচিত। বল ভেজা ছিল, সেটা জানি। বল বদলানোর জন্যও বেশি সময় দরকার। কিন্তু টি-টোয়েন্টির হিসেবে এই ম্যাচের গতিটা খুবই খুবই মন্থর ছিল। স্লো ওভাররেটের কারণে ম্যাচের গতি মন্থর হলে সেটার জন্য জরিমানারও বিধান থাকা উচিত। কদিন আগে তো শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক থারাঙ্গা সেজন্য নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। তবে বিপিএলে এখন পর্যন্ত সেরকম কিছু দেখা যায়নি।'
ফ্রাঙ্কলিনের সময়টা কাল ভালো যায়নি, দলের হারে পণ্ড হয়ে গেছে জন্মদিনও। সিলেটের ২০৬ রান তাড়া করে রাজশাহী আশা জাগিয়েও থমকে গেছে। ফ্রাঙ্কলিন স্বীকার করলেন, বোলিংয়েই হেরে গেছেন ম্যাচটা, ‘সত্যি বলতে কী, আমরা বোলিংয়ে ম্যাচটা হেরে গেছি। ওরা পাওয়ারপ্লে খুব কাজে লাগিয়েছে। ওদের দুই ওপেনার বেশ ভালো ফর্মে ছিল। আমরা ওদের সুযোগও করে দিয়েছিলাম। এরপরও আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। শেষ চার ওভারে আমরা কাজটা ঠিকঠাক করতে পারিনি বলেই ২০০ হয়ে গেছে। ’
তারপরও ১৫ ওভার পর্যন্ত সিলেটের গায়ে গা লাগিয়ে এগুচ্ছিল রাজশাহী। সেখান থেকে ব্যর্থতার জন্য রাইট ও স্যামির চোটের কথা বললেন, ‘শুরুটা ভালো হয়েছিল, কিন্তু এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে শুরু করি। আমরা একটু সতর্ক ছিলাম, কিন্তু সুযোগ পেলেই চার মারছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে লুক একটু চোট পেয়েছিল, সেটার জন্য ও উইকেটে খুব ভালোভাবে দৌড়াতেও পারছিল না। লুক আউট হওয়ার আগে ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু এরপর এসে ড্যারেনও চোটে পড়ল। আমার মনে হয়েছে, ছয় ওভার বাকি থাকতে আসলে আমাদের কিছুটা সুযোগ ছিল। কিন্তু ২০০ রানের লক্ষ্য নিয়ে নামলে সবকিছুই আপনার পক্ষে যেতে হবে।’
আপাতত ফ্রাঙ্কলিন প্রেরণা খুঁজছেন পরের মৌসুম থেকে। আশা করছেন, ঢাকা পর্বে এসেই বদলে যাবে রাজশাহী।