• " />

     

    ৫০ ওভার, ৭৩ রান, আর কিছু অদ্ভুতুড়ে সংখ্যা!

    ৫০ ওভার, ৭৩ রান, আর কিছু অদ্ভুতুড়ে সংখ্যা!    

    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ৩৩৫/৬, ৫০ ওভার (তৌহিদ ১২০, সাইফ ৯০, আমিনুল ৩৯, হাফিজ ৪/৭৮, আজিজ ২/৯৬)
    মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ ৭৩/৮, ৫০ ওভার (ভিরানদিপ ৪৬, সাইফ উল্লাহ ৮, শাখাওয়াত ৩/১৮, আফিফ ২/১৯)
    ফল : বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ২৬২ রানে জয়ী 


    একটা ওয়ানডে ম্যাচ। এক ব্যাটসম্যানের রান ৪৬। বাকি নয় ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ২১ রান। অতিরিক্ত ৬টি। সব মিলিয়ে মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যানরা খেলেছেন ৫০ ওভারই! ৫০ ওভার, ৭৩ রান, ৮ উইকেট, তাও আবার দ্বিতীয় ইনিংসে। কুয়ালালামপুরের বায়ুয়েমাস ওভালে তারা যেন ফোরজির ডিজিটাল যুগে এসে ব্যাটিং করেছেন ওয়ানজির অ্যানালগ পদ্ধতিতে! বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ম্যাচটা জিতেছে ২৬২ রানে। তবে সহজেই জিতলেও ঘাম না ঝরিয়েই জিতেছে কথাটা বলা যাচ্ছে না। পুরো ৫০ ওভারই যে ফিল্ডিং করতে হয়েছে সাইফ হাসানদের! 

    টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল মালয়েশিয়া। ৩৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে একটু নড়বড়ে যদি হয়ে থাকে বাংলাদেশের ইনিংস, সে নড়বড়ে ভাব উড়িয়ে দিয়েছেন সাইফ হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে ১৯২ রানের জুটি, ১০ রানের জন্য সাইফ সেঞ্চুরি মিস করলেও ১২০ রান পেয়েছেন তৌহিদ। সাইফের আউটের পর যেন আরেক দফা ঝড় তোলার সুযোগ পেয়েছেন মিডল ও লেট মিডল অর্ডার। 

    আফিফ করেছেন ৯ বলে ২১, আমিনুল ১৭ বলে ৩৯, মাহিদুল ৯ বলে ১৬। ৩৩৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশের যুবারা। সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে সাইদ আজিজের ওপর দিয়ে, মালয়েশিয়ার ডানহাতি পেসার ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৬ রান। ২ টা উইকেট নিয়েছেন অবশ্য এরই সঙ্গে। ৪টি উইকেট নিয়েছেন মুহাম্মাদ হাফিজ, তিনি গুণেছেন ৭৮ রান।

     

     

    নিজেদের ওপর বয়ে যাওয়া ঝড়ের পর যেন থমকে গেছেন মালয়েশিয়ার যুবারাও! ৩৩৬ রানের লক্ষ্যটা অনতিক্রম্য ঠেকেছিল হয়তো তাদের কাছে, নাহলে এমন দাঁত কামড়িয়ে থাকা ব্যাটিংটা কেনই বা করবেন! 

    তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেটের পতন, রান তখন ১১। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললেও খুব পিছিয়ে ছিল না সেটা। ভিরানদিপ সিং ও সাইফ উল্লাহ এরপরের ১৭.৫ ওভারে তুললেন ২৯ রান। অধিনায়ক ভিরানদিপ শেষ পর্যন্ত করলেন ৪৬, বল খেললেন ১৩০টি। আউট হলেন ৪২তম ওভারে। তার ৩৫.৩৮ স্ট্রাইক রেটটাই মালয়েশিয়ার ইনিংসের সর্বোচ্চ! 

    তাদের স্ট্রাইক রেটের প্রভাব তাইঅনুমিতভাবেই আছে বোলারদের ইকোনমি রেটেও। নাইম ও সাইফ, দুজনের ইকোনমি রেটই ১-এর নিচে! সবচেয়ে ‘খরুচে’ ছিলেন ৪ ওভার বোলিং করা হাসান। তার ইকোনমি রেট যে ২.৫! 

    সামনে দীর্ঘ ক্যারিয়ার পড়ে আছে সাইফদের, তবে এমন অভিজ্ঞতা আর কয়বার পাবেন, সেটাই প্রশ্ন!