প্রশ্ন তোলার আগেই চলে যাচ্ছেন আজমল
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন পাকিস্তানী অফস্পিনার সাইদ আজমল। পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপই হবে আজমলের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট। রাওয়ালপিন্ডিতে চলছে এ টুর্নামেন্ট।
উইজডেন ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গত মাসে ৪০ পূর্ণ করা আজমল বলেছেন, কোনও দলের ওপরই বোঝা হয়ে থাকতে চান না বলেই এমন সিদ্ধান্ত তার। ক্যারিয়ার নিয়ে ‘তৃপ্ত’ হলেও অ্যাকশনজনিত ঝামেলায় পড়া এই অফস্পিনারের কন্ঠে অবশ্য ঝড়েছে আক্ষেপও, ‘আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্ত। তবে শেষ দুই বছর ছিল বেশ হতাশাজনক। অবৈধ অ্যাকশনের প্রক্রিয়াগুলো যেন শুধু আমার ও (মোহাম্মদ) হাফিজের জন্যই প্রযোজ্য। কারণ, এখনও বেশ কয়েকজন বোলার ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশন নিয়ে বল করছেন।’
‘তবে ঘরোয়াতে আমার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কেউ আঙ্গুল তোলার আগেই আমি চলে যেতে চাই। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুনঃ ক্রিকেটের চাকিং রহস্য
২০১৪ সালে অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে আজমলের। অ্যাকশন শুধরে ফিরেও এসেছিলেন, তবে হারিয়েই খুঁজেছেন শুধু নিজেকে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের সঙ্গে দুইটি ওয়ানডে খেলেছিলেন। এক ম্যাচে ৭৪ রানে ০, আরেক ম্যাচে ৪৯ রানে ১টি উইকেট পেয়েছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে আজমলের শেষ ম্যাচ সে সফরেই। সেই টি-টোয়েন্টিতেও ৩.২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।
এরপর আর দলে ডাক পাননি। সে সময়ও তিনি ক্ষোভ জানিয়েছিলেন, তাকে আর সুযোগ না দেওয়ার জন্য। তবে বিদায়বেলায় সবাইকে ‘ক্ষমা’ করে যাচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি। মাইকেল ভন থেকে শুরু করে স্টুয়ার্ট ব্রড, যারা আমাকে ২০১৪ সালে মন্তব্য করে আঘাত করেছিল তাদেরকেও। আমি আমার সতীর্থ, বিশেষ করে মিসবাহ-উল-হককে ধন্যবাদ জানাই, আমার ওপর ভরসা রাখার জন্য। ধন্যবাদ জানাই আমার সব বন্ধু ও পরিবারকেও।’
তবে অ্যাকশনজনিত সমস্যায় পড়ার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের অন্যতম বড় অস্ত্র ছিলেন তিনি, ছিলেন ম্যাচ জেতানো বোলার। তখনকার এক নম্বর দল ইংল্যান্ডকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করার সিরিজে আজমল নিয়েছিলেন ২৪ উইকেট। সব মিলিয়ে ৩৫ টেস্টে ১৭৮, ১১৩ ওয়ানডেতে ১৮৪ ও ৬৪টি টি-টোয়েন্টিতে ৮৫টি উইকেট (উমর গুলের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ) আছে একসময় ‘তিসরা’ নামের ডেলিভারির ‘জনক’ এ বোলারের।