বৃষ্টি আর দুর্ভাগ্যের কাছে হারল বাংলাদেশের যুবারা
বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৭৪/৬ (পিনাক ৮২, সাইফ ৬১, আফিফ ৫২; মুনীর ৩/৫৩)
পাকিস্তান ৩৯ ওভারে ১৯৯/৫ (তাহা ৯২, সাদ ৩৫*; অনিক ২/৩৫)
ফলঃ পাকিস্তান ২ রানে জয়ী (ডি এল ব্যবধানে)
১১ ওভারে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দরকার ৭৬ রান, হাতে ৫ উইকেট। ঠিক আগের ওভারেই ৯২ রানে আউট হয়ে গেছেন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ তাহা। ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকে একটু হলেও বেশি হেলে ছিল, সেটা অধিনায়ক সাইফ হাসান দাবি করতেই পারেন। তবে বৃষ্টির থাবায় নিয়তিটা মেনে নিতে হচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে, ঐ অবস্থাতেই খেলা যে সেই বন্ধ হয়েছে আর শুরু হয়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গেছে ২ রানে। কুয়ালালামপুরে অনূর্ধ্ব ১৯ এসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশের তরুণদের।
ওই ওভারের আগেও অবশ্য পাকিস্তানের জয়ের আশাটা বেশি উজ্জ্বল ছিল। পঞ্চম উইকেটে তাহা ও সাদ খানের জুটি একটু একটু করে বাংলাদেশের কাছ থেকে বের করে নিচ্ছিল ম্যাচটা। শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের, দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ আরিফকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কাজী অনিক। ষষ্ঠ ওভারে ২৬ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যান আবদুল্লাহ শফিক। ৫১ রানে মোহসিন খানের আউটের পর ১২০ রানে চতুর্থ উইকেটও হারিয়ে বসে পাকিস্তান। এরপর তাহা ও সাদ খানের ৭৭ রানের জুটিতে আবার একটু ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু ৩৯তম ওভারে তাহা খানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের আশা আবার জাগিয়ে তোলেন অনিক। ঠিক চার বল পরেই বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা, শেষ পর্যন্ত তা আর শুরু হতে পারেনি।
অথচ শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের স্কোর আরও বেশি হওয়ারই কথা ছিল। ৫১ রানে নাঈম শেখ আউট হলেও পিনাক ঘোষ ও অধিনায়ক সাইফ হাসান পথ দেখাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। ৩০তম ওভারে সাইফ যখন আউট হন, বাংলাদেশের রান তখন ১৫৬। উইকেটে ছিলেন পিনাক ঘোষ, আগের ম্যাচের মতো আজও খেলছিলেন দারুণ। তৌহিদ হৃদয় পাঁচ রানে ফিরে গেলেও আফিফ হোসেনের সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে।
কিন্তু ৯৩ বলে ৮২ রান করার পর পিনাক আউট হয়ে গেলে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আমিনুল, অঙ্কনরা রানের গতিটা সচল রাখতে পারেননি। আফিফের ৫৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসের জন্য শেষ পর্যন্ত ২৭৪ রানে পৌঁছাতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু কে জানত, বৃষ্টির জন্য শেষ পর্যন্ত আফসোস করতে হবে!