পাকিস্তানকে উড়িয়ে আফগান তরুণদের এশিয়া জয়
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান- ৫০ ওভারে ২৪৮/ ৭ ( ফাইজি ১০৭*, মুসা ৩/৪৬)
পাকিস্তান ২২.১ ওভারে ৬৩/১০( তাহা ১৯, মুজিব ৫/১৩)
ফলাফল- আফগানিস্তান ১৮৫ রানে জয়ী
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ- ইকরাম ফাইজি
ম্যাচ অফ দ্যা টুর্নামেন্ট- মুজিব জাদরান
পুরো টুর্নামেন্টেই দাপটের সাথে খেলেছে দল। তবে ফাইনালটা যে এত একপেশে হবে, সেটা হয়ত খোদ আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররাও ভাবেননি। ইকরাম ফাইজির দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও মুজিব জাদরানের ঘূর্ণিজাদুতে ইতিহাস গড়ল আফগানরা। অনূর্ধ্ব-১৯ এসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাকিস্তানকে ১৮৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আফগানিস্তান।
সেমিতে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান, আফগানিস্তান হারিয়েছিল নেপালকে। কুয়ালালামপুরের ফাইনালে টসে জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। রাহমান গুল ও ইব্রাহিম জাদরান ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৬১ রান। গুলকে ৪০ রানে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত আনেন মোহাম্মদ মুসা। কিছুক্ষণের মাঝে ইব্রাহিমকে ফেরান মোহাম্মদ তাহা। এরপর ইকরাম ফাইজি একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। ডারউইশ রাসুলি ও কায়েস আহমেদের সাথে দারুণ দুটি জুটি গড়লে দলের রান ২০০ পেরোয়। টুর্নামেন্টের আগের চার ম্যাচ মিলিয়ে ৫২ রান করা ফাইজি তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও, ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১১৩ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
২৪৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চার ওভারের মাঝেই ফেরেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার। দুজনকেই ফিরিয়েছেন মুজিব জাদরান। মোহাম্মদ তাহা প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে। মুজিবের স্পিন যেন বুঝতেই পারছিলেন না প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা।
কায়েস আহমেদ ও মুজিবের বোলিং তোপে মাত্র ২২ ওভার টিকতে পেরেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে তাঁদের ইনিংস ৬৩ রানেই থামিয়ে দেন মুজিব। মোহাম্মদ তাহা ও হাসান খান ছাড়া দুই অংক ছুঁতে পারেননি কেউই। ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন মুজিব, কায়েস পেয়েছেন ৩ উইকেট। ৫ ম্যাচে ২০ উইকেট তুলে নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন মুজিব।