• " />

     

    শ্রীলঙ্কা সিরিজেই নতুন কোচ নিয়োগের তাড়া নেই বিসিবির

    শ্রীলঙ্কা সিরিজেই নতুন কোচ নিয়োগের তাড়া নেই বিসিবির    

    সকাল থেকেই হোটেল র‍্যাডিসন যেন এক টুকরো মিরপুর। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বোর্ড পরিচালকেরাও। তিন অধিনায়কের মধ্যে সবার আগে ঢুকলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর সাকিব আল হাসানের পর সবার শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেই বৈঠকের পর বিসিবি সভাপতি জানালেন, এই মুহূর্তে কোচের জন্য তাড়াহুড়ো করছেন না তারা। তিন অধিনায়কও এই মুহূর্তে কোচ লাগবেই, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা দেননি। সেজন্য শ্রীলংকা সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও তারা প্রস্তুত। 
               
    ‘আসলে এটা আগেই বলেছিলাম, আমাদের যে কোচিং স্টাফ আছে এবং আমাদের যে তিন অধিনায়ক আছে ওদেরকে আমরা ডেকেছিলাম বসার জন্য। সামনে আমাদের একটা সিরিজ আছে। আমাদের  হেড কোচ আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, হেড কোচের ব্যাপারে অন্তবর্তীকালীন সময়ে কী করা যাবে। এমনও তো হতে পারে আমরা এ সিরিজের আগে কোনো কোচ নিয়োগ করবো না।’

     

     

    এর আগে হেড কোচ হিসেবে গুঞ্জন উঠেছে রিচার্ড পাইবাসকে নিয়েও। বিপিএলের ম্যাচে বোর্ড প্রেসিডেন্টের পাশে বসেই খেলা দেখছিলেন বাংলাদেশেরই সাবেক কোচ, তিনি সাক্ষাতকার দিতে এসেছেন, নিশ্চিত হয়েছিল সেটাও। তালিকায় আরও শোনা যাচ্ছে ফিল সিমন্সের নাম। আসতে পারেন আরও একজন। তবে কে হচ্ছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের উত্তরসূরি, নিশ্চিত হয়নি সেটা। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই তাই হেড কোচ নিযুক্ত না হলেও ক্রিকেটারদের কোনও অসুবিধা হবে কিনা, সেটা নিয়েই অধিনায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বোর্ড প্রধান, ‘আমরা এর মধ্যে কাউকে না আনি তাহলে কী হবে। সেজন্য ওদেরকে বলেছি ওরা নিজেরা মিলে সবকিছু এখন থেকেই যেন পরিকল্পনাটা করে ফেলে যে, সামনের সিরিজটি আমরা কিভাবে খেলব। সবার আগে জানতে চেয়েছি যে ওরা আত্মবিশ্বাসী কি না। ওরা সকলে এক বাক্যে স্বীকার করেছে যে ওরা আত্মবিশ্বাসী। সামনের সিরিজটা ওরা নিজেরাই (হেড কোচ ছাড়াই) করতে পারবে। এজন্য কার কী চাওয়া কী পরিকল্পনা, কিভাবে কাজ করলে কবে থেকে ক্যাম্প শুরু হবে এ জিনিসগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।’

    ‘কালকে আমাদের বোর্ডের সভা আছে। সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নিব অন্তবর্তীকালীন অবস্থায় কাউকে আমরা নিয়োগ দিব কিনা। আপাতত কোচিংয়ে যে দলটা আছে- রিচার্ড হ্যালসল(ফিল্ডিং কোচ), পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন (ম্যানেজার) আছে। সুনীল যোশী (স্পিন বোলিং কোচ) বা ফাস্ট বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ- সবাই আসবে। তিনজন অধিনায়ককে মূলত ডাকা হয়েছিল, তারা সবাইকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে কিনা। তারা আত্মবিশ্বাস নিয়েই জানিয়েছে যে তারা পারবে। এবং তাদের কোনো তাড়া নেই যে  সিরিজের আগে তাড়াহুড়ো করে কোনো কোচ দরকার আছে।’

    তাড়া না থাকলেও যে বিসিবি বসে থাকবে, ব্যাপারটা তেমনও নয়, ‘আমরা আস্তে-ধীরে “বেস্ট পসিবল সলিউশন”-এর দিকে এগুতে পারি। তারমানে এই না যে আমরা কোচ নিচ্ছি না। কাল-পরশুও আমরা কোচ নিতে পারি। এটা ভিন্ন ইস্যু। আমি ওদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বললাম। যদি কোনো কারণে কোচ না পাই তাহলে কী হবে সেটা।’