• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    তামিমের মন্তব্যে 'বন্ধ হয়ে যেতে পারত ভেন্যু'

    তামিমের মন্তব্যে 'বন্ধ হয়ে যেতে পারত ভেন্যু'    

    নতুন বছর শুরুর দিনেই শাস্তির খবর পেয়েছেন সাব্বির রহমান ও তামিম ইকবাল। বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান গতকাল বলেই দিয়েছেন, মাঠের বাইরের ব্যাপারগুলোতে কঠোর হবে বিসিবি। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সুর মেলালেন তার কথাতেই, আর মাশরাফি বিন মুর্তজার মতে, বিসিবির বিধি-নিষেধ মেনে চলা সব ক্রিকেটারেরই দায়িত্ব। 

    সাব্বিরের শাস্তি জাতীয় লিগে দর্শক পেটানোর ঘটনায়, আর তামিমকে জরিমানা করা হয়েছে বিপিএলে মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করায়। উইকেটকে ‘জঘন্য’ বলে কিউরেটর ও আউটফিল্ডেরও সমালোচনা করেছিলেন তামিম। নাজমুল কাল বলেছিলেন, দেশের ক্রিকেটের জন্য এমন মন্তব্য বিপজ্জনক। 

    সুজন বললেন, এসবের কারণে আশঙ্কা থাকে মিরপুরে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ারই, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনারা হয়তো জানেন দুইটা ডিমেরিট পয়েন্টের ব্যাপার ছিল (অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্টের পর)। আমরা যদি বলি যে গ্রাউন্ড খারাপ হয়ে গেছে, আইসিসিতে এটা গেলে হয়তো এই ভেন্যুই বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা যাই-ই বলি দেশের ক্রিকেটের সম্মানটা রেখে কথা বলাটা যৌক্তিক হবে। শাস্তিটা হয়তো প্রয়োজন ছিল। সেজন্যই হয়েছে। দিন শেষে ভাল খেলতে হবে সেটাই আমাদের কাজ। বিসিবিতে  এত লোক আছে অভিযোগ থাকলে বিসিবিকে জানানোই ভাল মনে হয়। অনেক ডিপার্টমেনট আছে। সভাপতিকেও বলতে পারে। সেটা যখন আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে যায় তখন আমাদের ক্ষতির কারন হতে পারে সেটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। কারণ ঢাকায় এর বাইরে কিন্তু আর ভেন্যু নেই। ঢাকার মাঠ বন্ধ হয়ে গেলে খেলা দেবেন কোথায় আপনি।’ 

     

     

     
    আর সাব্বিরের ক্ষেত্রে ‘রোল-মডেল’ এর ভূমিকাটা বড় করে দেখছেন মাহমুদ, ‘জাতীয় দলের ক্রিকেটার, ওরা হচ্ছে রোল মডেল। দেশের কাছে রোল মডেল। তাদের কোনো বক্তব্য মানুষের কাছে খারাপ দেখাবে বা দেশকে ছোট করবে সেটা কোনোভাবেই বিসিবি ছাড় দেবে না। সাব্বিরের ব্যাপারে ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট প্রাধান্য পেয়েছে। শাস্তিটা যেটাই হয়েছে, কিছু সময় আপনি যখন সর্বোচ্চ অন্যায় করেন আপনাকে সেটা মানতেই হবে। সাব্বির অনেক উঠতি তারকার কাছে রোল মডেল। সাব্বিরের মতো হতে চায় তারা। সাব্বিরকে সেটা মাথায় রাখতে হবে।’

    আর দুই শাস্তি মিলিয়ে মাশরাফির মত, ‘প্রথম কথা হচ্ছে যে, বিসিবির অধীনে আমরা সবাই। এটা মেনে নেওয়াটাও দায়িত্ব। একই সাথে আমাদের সবাই অনুসরণ করে। তরুণরা যারা উঠে আসছে, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯; তারাও আমাদের অনুসরণ করে। সুতরাং মাঠের বাইরের সব কিছু ঠিক রাখা আমাদের দায়িত্ব। যেটা হয়েছে, সেটা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। সামনে যেন আমরা কোনো ভুল না করি। সাব্বিরের সাথে হয়েছে; কিন্তু আর কারো সাথে যাতে না হয়। এমন কি আমার সাথেও। আমাদের কাজ হলো ভালো পারফর্ম করা। আর সবাই যেহেতু আমাদের অনুসরণ করে, সুতরাং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, মাঠের বাইরে আমরা যাতে আমাদের কাজগুলো ঠিক করি। এটাও আমাদের ঠিক রাখা উচিত।’