• " />

     

    ৫ ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে ক্লাবগুলো

    ৫ ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে ক্লাবগুলো    

    ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। এ লিগের জন্য ‘প্লেয়ার বাই চয়েস’ হবে ২০ জানুয়ারি। প্রত্যেক ক্লাব ৫ জন করে পুরোনো ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে, তবে সেটা ‘এ প্লাস’ বা ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের নয়। এরকম ১২ জন ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ করবে বিসিবি, যারা ড্রাফটের জন্য উন্মুক্ত থাকবেন। সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম ক্লাব ও বিভাগভিত্তিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভার পর আজ জানিয়েছেন এসব তথ্য। 

    ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান প্রিমিয়ার লিগের মতো মূল টুর্নামেন্টগুলো ক্রিকেট-মৌসুমের মাঝেই শেষ করতে বলেছেন। তবে আমাদের মাঠে স্বল্পতা আছে। সে কারণে জানুয়ারির ২৪ তারিখে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরই প্রিমিয়ার লিগ হবে।’ 

    ক্রিকেটারদের টাকা-পয়সা নিয়েও বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে বিসিবি। যেসব ক্রিকেটারকে ক্লাব রেখে দিতে চায়, ড্রাফটের আগেই তাদের পাওনা টাকার ৫০ শতাংশ দিতে হবে, নাহলে তারা ড্রাফটের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবেন। ড্রাফট থেকে নেওয়া ক্রিকেটারদের মোট টাকার ৫০ শতাংশ দিতে হবে ড্রাফটের পর বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মাঝে, ২৫ শতাংশ দিতে হবে টুর্নামেন্ট চলার সময়ে, বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর। 

     

     

    তবে ড্রাফটের কোনও ক্রিকেটার নিজের ইচ্ছামতো ক্লাব বেছে নিতে পারবেন না। অর্থাৎ, যে ক্লাব তাকে চাইবে, তাকে সে দলেই খেলতে হবে। আর পাঁচজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সংখ্যাটাও বেশি নয় বলে মত ইনামের, ‘এখানে দুইটা বিষয় আছে। ২০১৬ মৌসুমে ক্রিকেটার ধরে রাখার এই পদ্ধতি ছিল, সেবার দুইজন ক্রিকেটার ধরে রাখা যেত। সম্প্রতি আমরা বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে দেখেছি, দলগুলো বেশি ক্রিকেটার ধরে রাখছে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। সব ক্লাবই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে, তারা সবাই বিশ্বাস করে, পাঁচজন ক্রিকেটার রাখতে পারলে তাদের স্কোয়াডে একটা ধারাবাহিকতা আসে।’ 

    প্রিমিয়ার লিগের আগেই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট। ২০ জানুয়ারি থেকে ২২টি দল নিয়ে হবে এ টুর্নামেন্ট। তবে মাঠ-স্বল্পতার কারণে প্রথম বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ শুরু হচ্ছে না এখনই। প্রথম বিভাগ শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগের পর, আর তৃতীয় বিভাগের খেলা শুরু হবে দ্বিতীয় বিভাগ শেষ হলে।