উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের সহজ জয়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৩১৫/৭ (উইলিয়ামসন ১১৫, হাসান ৩/৬১)
পাকিস্তান ৩০.১ ওভারে ১৬৬/৬ (ফখর ৮২*, সাউদি ৩/২২)
ফলাফল- বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ড ৬১ রানে জয়ী।
টসে জিতে আকাশের গোমড়া মুখ দেখে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভাগ্য যে সরফরাজ আহমেদদের পক্ষে নেই, সেটা বোঝা গেল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় ঝলমলে রোদ দেখেই। সেই বৃষ্টি এল, তবে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের সময়। ওয়েলিংটনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানকে ৬১ রানে হারিয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে জয়ের নায়ক কিউই অধিনায়কই।
৩১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেম এর চেয়ে খারাপ শুরুর কথা ভাবতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত আনেন টিম সাউদি। ২ ওভার পর মোহাম্মদ হাফিজকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। ৩৭ রানে শোয়েব মালিক, ৫৪ রানে সরফরাজ ফিরলে জয়ের আশা অনেকটা শেষ হয়ে যায় তখনই।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার এই মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ফখর জামান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে কিউই পেসারদের উল্টো চাপে ফেলেছেন বহুবারই। তাঁর একার লড়াইয়ে অবশ্য ম্যাচের ফলাফল পাকিস্তানের পক্ষে যাওয়ার আশা ক্ষীণই ছিল। ১৬৬ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তানের ইনিংস যখন ৩০ ওভার পার করেছে, তখনই আকাশ ভেঙ্গে নামে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি আর কমেনি, বৃষ্টি আইনেই জয়ী ঘোষণা করা হয় নিউজিল্যান্ডকে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটি ভালো সূচনা এনে দেয় নিউজিল্যান্ডকে। মার্টিন গাপটিল- কলিন মানরো জুটি বারবারই সরফরাজকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল, বোলিং নিয়ে খানিকটা ভুলই করেছেন। ১২ ওভারেই ৮৩ রান তোলেন দুজন। মানরোকে ফেরান হাসান আলী, সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিফটির কিছুক্ষণের মাঝেই আউট হন। মানরো ফিরলেও কেন উইলিয়ামসন নিয়ে আবারও জুটি গড়েন গাপটিল। হাফ সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে থাকতে গাপটিল সাজঘরে ফেরার পর দ্রুতই আরও ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
এর পরের গল্পটা শুধুই উইলিয়ামসনের। ৮ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ইনিংসে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি। ৯৮.২৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে দলের স্কোরকেও নিয়ে গেছে ৩০০ রানের ওপরে। শেষ ১০ ওভারে তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন হেনরি নিকোলস, ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনিও।